শীত মৌসুমে ছোট শিশুদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। আজকাল তাদের সংক্রমণ এবং ত্বকের সমস্যা হওয়া সাধারণ ব্যাপার। ডাঃ অজয় রানা অনেক উপকারী টিপস বলেছেন যাতে তাদের ত্বকের সমস্যা না হয় এবং রোগ থেকেও দূরে থাকে।
* শীতকালে শিশুদের স্নানের জন্য হালকা সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। যদি আয়ুর্বেদিক সাবান থাকে তবে এটি আরও ভাল, কারণ এটি শিশুদের শরীরের জন্য আরও কার্যকর।
* ঠাণ্ডা মৌসুমে শিশুদের শুষ্ক ত্বক বা চুলকানির সমস্যাও অনেক বেশি হয়। এই পরিস্থিতিতে, তাদের হালকা গরম জলে স্নান করা গুরুত্বপূর্ণ এবং দীর্ঘ সময় ধরে স্নান না করা, অর্থাৎ মোটেও 10 মিনিটের বেশি নয়।
* শিশুদের জন্য একটি ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন, যাতে অলিভ অয়েল এবং বাদাম তেলও থাকে। এতে শিশুর ত্বক নরম ও কোমল থাকে।
* পেট্রোলিয়াম জেলি বা অ্যাকুয়াফোর, অ্যাসারিনের মতো ময়েশ্চারাইজার শিশুদের গায়ে লাগান। এটি শুধুমাত্র ত্বককে নরম এবং কোমল করে না, এটি দাগ-প্রবণ ত্বক নিরাময়েও সাহায্য করে।
* শীতকালে, ছোট শিশুরা অনেক স্তরে কাপড় পরে, যার কারণে তাদের ত্বক আর্দ্রতা, তাপ এবং জ্বালাপোড়ার ঝুঁকিতে থাকে, যার কারণে তাদের ফুসকুড়ি হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের ডায়াপার চেক করে রাখা উচিৎ। সময়ে সময়ে নোংরা ডায়াপার পরিবর্তন করুন। শিশুকে দিনে একবার কিছুক্ষণের জন্য কাপড় ছাড়া রাখুন, যাতে ত্বকে বাতাস পায়। এতে করে তাদের ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
* গবেষণা অনুযায়ী, রাতে শিশুদের ভারী কম্বল, চাদর ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে ঘুমোবেন না। এটি তাদের SIDS অর্থাৎ সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোমের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। শিশুকে গরম কাপড় পরিয়ে ঘুমাতে দেওয়াই ভালো।
* শীতকালে শিশু যেন সুস্থ থাকে এবং তার শরীর ভালোভাবে গরম থাকে, এর জন্য অবশ্যই ম্যাসাজ করতে হবে। নারকেল তেল বা বাদাম তেল দিয়ে শিশুকে মালিশ করা ভালো।
* শীতকালে একজিমায় আক্রান্ত শিশুদের ত্বকে আর্দ্রতার সমস্যা দেখা দেয়। শুষ্ক ত্বকের কারণে অনেক সময় ঠান্ডায় ত্বক ফেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন।
* শীতকালে উন্মুক্ত ত্বকে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে শিশুরা ফ্রস্টনিপ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। এটি প্রতিরোধে শিশুদের হাত-পা গ্লাভস, জুতা-মোজা, টুপি ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে রাখুন।
* শীতকালে অতিবেগুনী রশ্মির কারণে শিশুদের গালে লাল দাগের সমস্যা খুবই সাধারণ। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। SPF 30 সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
* আবহাওয়া এবং ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী শিশুকে পোশাক পরান। শিশুকে বাইরে নিয়ে গেলে সর্দি-কাশির যত্ন নিন এবং ভালোভাবে গরম কাপড় পরুন, যাতে সে ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা বা ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পারে।
No comments:
Post a Comment