মাছের মত ধারাল আঁশ যুক্ত নিরীহ একটি প্রাণী হল পাঙ্গোলিন। বিশ্বের মধ্যে এশিয়ার বাজারে প্যাঙ্গোলিনের দাম সব থেকে বেশি মুলত চীন ও ভিয়েতনামের মত কম্যুনিস্ট শাসিত দেশে।
প্যাঙ্গলিন বনরুই নামে পরিচিত প্রাণীটি অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো দেখতে নয় । মাথা এবং দেহ কাঁটাযুক্ত আঁশে ভর্তি সরীসৃপ প্যাঙ্গোলিন ভয় পেলে শক্ত বলের মত কুঁকড়ে যায়। ফলে শিকারিরা খুব সহজেই ধরে পাচার করতে পারে।
নিশাচর এই প্রাণীটি ইতিমধ্যে বিশ্বের সর্বাধিক পাচারকারী স্তন্যপায়ী প্রাণীর তকমা পেয়েছে।
প্রতি দশ বছরে প্রায় এক মিলিয়নের পাঙ্গোলিন পাচার হয়।
পাঙ্গোলিন বিশেষজ্ঞ জোনাথন বেলির মতে আফ্রিকা ও এশিয়ার বৃহত অংশ জুড়ে পাওয়া এই প্রাণীটির আটটি প্রজাতিই এখন বিলুপ্তির মুখোমুখি।
প্যাঙ্গোলিনের চাহিদা আসলে চীন এবং ভিয়েতনামে বেশি । এবং এশীয়ার জঙ্গলে বসবাসরত এলাকার প্রাণী প্যাঙ্গোলিন চীন থেকে মূলত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
প্রাণীটির আঁশ দিয়ে চীনারা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করে। তবে আজকাল ভিয়েতনাম ও চীনে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্তরা প্যাঙ্গোলিন মাংসকে বিলাসবহুল আইটেম হিসাবে বিবেচনা করে।
"চীনে ও ভিয়েতনামে যে কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি হয়ে গেলে প্যাঙ্গোলিনের মাংস উদযাপন হিসাবে খাওয়া হয় । প্রতি কিলো প্যাঙ্গোলিনের মাংস কয়েকশো ডলারে বিক্রি হয়।
এশিয়ায় সংখ্যা কমার ফলে আফ্রিকান পাঙ্গোলিনগুলির চাহিদা বেড়েছে । আফ্রিকা থেকে আশঙ্কাজনক হারে চীনের বাজারে পাচার করা হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন । ভারত বাংলাদেশের জঙ্গলেও চীনের পাচারকারী এজেন্টরা প্যাঙ্গোলিন শিকার করে পাচার করতে সক্রিয়।
No comments:
Post a Comment