শিশুদের স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 30 December 2021

শিশুদের স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট



পরীক্ষার সময় শিশুরা গভীর রাতে জেগে থাকে বা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে।  ঘুম এড়াতে শিশুরা এ সময় বেশি করে চা-কফি ও জাঙ্ক ফুড খেলেও তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।  পরীক্ষার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই পড়াশোনার পাশাপাশি এই সময়ে শিশুদের খাবারের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।  তাই পরীক্ষার সময় শিশুদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট তৈরি করুন, যাতে তারা সুস্থ ও উদ্যমী থাকে।


 সকালের জলখাবার

 অনেক শিশু সকালের জলখাবার খায় না, যার কারণে তাদের শক্তির অভাব হয়।  সকালের জলখাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই শিশুদের সকালের জলখাবারের দিকে বিশেষ নজর দিন।


 একটি স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ দিয়ে আপনার সন্তানের দিন শুরু করুন।  সকালের জলখাবারে ডিম, উপমা, পোহা, ওটস, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি শিশুকে দিতে পারেন।  এই সমস্ত প্রাতঃরাশের বিকল্পগুলি শিশুকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি উজ্জীবিত রাখবে।


 মধ্য খাবার

 সকালের জলখাবার ও দুপুরের খাবারের মধ্যে বাচ্চাদের খিদে পায়, তাই বেশির ভাগ শিশু এই সময়ে চিপস, বিস্কুট ইত্যাদি খায়, কিন্তু এমনটা করা ঠিক নয়।


সকালের জলখাবার ও দুপুরের খাবারের মধ্যে শিশুরা ক্ষুধার্ত হলে তাদের মৌসুমি ফল খেতে দিন।  শক্তির পাশাপাশি তারা ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।


 মধ্যাহ্নভোজ

 শিশুকে সবসময় সময়মতো দুপুরের খাবার দিন, অর্থাৎ খাবারের সময় ঠিক করুন।  দুপুর দুইটার মধ্যে শিশুকে দুপুরের খাবার দিন।


 দুপুরের খাবারে অর্থাৎ দুপুরের খাবারে শিশুকে মসুর-ভাত, সবজি-রুটি, সালাদ ও দই দিন।  খেয়াল রাখবেন খাবার যেন খুব মশলাদার না হয়।  শিশুকে হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার দিন।  এবং অবশ্যই, খাওয়ার সাথে সাথে শিশুকে পড়তে বলবেন না।  খাবার হজম করার জন্য কমপক্ষে 15-20 মিনিট হাঁটুন, যাতে পেট সম্পর্কিত কোনও সমস্যা যেমন বদহজম ইত্যাদি না হয়।


 সন্ধ্যার জলখাবার


 সকালের জলখাববারের মতো সন্ধ্যার টিফিন শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  তাই সন্ধ্যায় শিশুকে কী দেবেন, আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নিন।


গরম দুধ বা কম পাতার চা পান করা ক্লান্তি দূর করতে এবং বিকেলের অধ্যয়নের পরে সতেজ বোধ করার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প।  দুধ বা চায়ের সাথে ব্রাউন ব্রেড স্যান্ডউইচ, বিস্কুট ইত্যাদি শিশুকে দিতে পারেন।  শিশুকে সন্ধ্যার জলখাবার দেওয়ার সময় মনে রাখবেন সকালের জলখাবার যেন স্বাস্থ্যকর, হালকা এবং সীমিত পরিমাণে হয়।


 রাতের খাবার

 রাতের খাবারটিও হালকা এবং স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিৎ, যাতে খাওয়ার পরে শিশু পড়াশোনা করতে অলস না অনুভব করে।  এছাড়াও, খেয়াল রাখবেন শিশু যেন রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেয়।


 রাতের খাবারে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- রোটি, মসুর ডাল, সবজি, সালাদ, স্যুপ, পোরিজ, খিচড়ি, গ্রিলড চিকেন বা মাছ খাওয়া যেতে পারে।  খাবার খাওয়ার পর শিশুকে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে বলুন, এতে খাবার সহজে হজম হবে এবং শিশুর পড়ালেখা ভালো মনে হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad