সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে হলে মেনে চলতে হবে এই নিয়ম - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 10 December 2021

সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে হলে মেনে চলতে হবে এই নিয়ম

 


একটি সন্তানের জন্ম দেওয়া জীবনের সবচেয়ে কঠিন জিনিসগুলির মধ্যে একটি।  গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে সঠিক দিনে গর্ভধারণ করা থেকে শুরু করে প্রথম ত্রৈমাসিক থেকে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সমস্যাগুলি। 



 কিছু টিপস আছে যা মেনে চললে সুস্থ গর্ভধারণ করা যায়।  আসুন জেনে নিন কোন টিপস অনুসরণ করে একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়া যায়।



 স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার জন্য মেডিকেল ইতিহাস দরকার : যদি গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করছেন, তবে তার আগে আপনাকে অবশ্যই ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য পরীক্ষা করাতে হবে।



 গর্ভধারণের আগে আপনি যে ওষুধগুলি ব্যবহার করছেন সেগুলি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করতে ভুলবেন না কারণ সেগুলি একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।  এছাড়াও মহিলাদের তাদের পিরিয়ডের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ। কারণ সঠিক সময়ে পিরিয়ড না হলে গর্ভাবস্থার উপর প্রভাব পড়তে পারে।



জীবনধারা পরিবর্তন: গর্ভধারণের আগে ধূমপান, অ্যালকোহলের মতো জিনিসগুলি ত্যাগ করা  ভাল। পাশাপাশি যতটা সম্ভব মানসিক চাপ কমানোও একটি সুস্থ গর্ভধারণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।  মনে রাখবেন গর্ভাবস্থার সময়টা এমনিতেই চাপের, তাই অতিরিক্ত চাপ সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।



টিকাকরণ: টিকা শুধু মাকেই নয়, শিশুকেও অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।  গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মহিলাকে রুবেলা, হাম এবং মাম্পসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া উচিৎ ।



পারিবারিক ইতিহাস : নিশ্চয়ই শুনেছেন এমন অনেক রোগ রয়েছে যা শিশু সরাসরি পিতামাতার কাছ থেকে পায় না তবে তাদের পারিবারিক ইতিহাসের কারণে পেয়ে থাকে।


এরকম একটি রোগ হল থ্যালাসেমিয়া, যা পারিবারিক ইতিহাসের কারণে হয়ে থাকে।  এটি এড়াতে, দম্পতিদের সতর্কতা হিসাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।



 প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা: যদি একজন মহিলার কোনো গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা থাকে, তাহলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার ডাক্তারের সাথে নিরাপদ এবং কার্যকর বিকল্পগুলি সম্পর্কে কথা বলা উচিৎ।


অতীতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাও গর্ভাবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে৷  অতএব, এই জাতীয় যে কোনও পরিস্থিতিতে, সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad