গীতা প্রেসের অজানা ইতিহাস - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 1 December 2021

গীতা প্রেসের অজানা ইতিহাস



গীতা প্রেস, যে সংস্থা বিশ্বের সর্বাধিক হিন্দু ধর্মীয় বই প্রকাশ করে, তার নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীনতার আগে একবার ব্রিটিশরা এমনও বলেছিল যে, নিজের প্রিন্টিং মেশিন কিনে নাও। গীতা প্রেসকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে এটি বন্ধ হতে চলেছে, এতে কতটা সত্যতা রয়েছে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।



গীতা প্রেসের ইতিহাস সম্পূর্ণ আলাদা এবং অনন্য। গোরখপুরের শেখপুর এলাকার একটি ভবনে ধর্মীয় বই প্রকাশ ও মুদ্রণ করা হয়। অনেকবার এই গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে গীতা প্রেস বন্ধের পথে, কিন্তু  বাস্তবতা কিন্তু অন্য কথা বলে।



গীতা প্রেস ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতার আগে যখন গীতা প্রেসের ঘরে ঘরে শ্রীমদ ভাগবত গীতা ছাপানোর জন্য ব্রিটিশ মেশিন ব্যবহার করা হতো, সেই সময় ব্রিটিশরা মুদ্রণের সময় গীতায় অনেক ভুল-ত্রুটি রেখে যেতেন। তখন এর প্রতিষ্ঠাতা জয়দয়াল গোয়ান্দকা ব্রিটিশদের কাছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।



গীতা প্রেসের এক কর্মচারী রাজেশ শর্মা বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠাতার উদ্দেশ্য ছিল তিনি যেন ঘরে ঘরে গীতা পৌঁছে দিতে পারেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বাইরের প্রেসে গীতা ছাপানো হতো। সেই লোকেরা গীতায় শুদ্ধতা বজরা রাখত না। এ বিষয়ে আপত্তি জানালে ব্রিটিশরা বলত, যদি আরও শুদ্ধ ছাপাতে চাও, তাহলে নিজেদের প্রেস লাগাও।



একই উদ্দেশ্যে, প্রথম মেশিন বোস্টন ম্যাস ইউএসএ ইনস্টল করা হয়েছিল। আজ এত বছর পর এক বড় গাছের রূপ নিয়েছে গীতা প্রেস। গীতা প্রেসের জাদুঘরে অনেক আকর্ষণীয় ও ঐতিহাসিক জিনিস দেখা যায়।



সারা বিশ্বে গীতা প্রেসের কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। ঘরে ঘরে পঠিত ধর্মীয় বই প্রকাশিত হয় গোরক্ষপুরের এই গীতা প্রেসে। জি হিন্দুস্তানের দল গীতা প্রেসের  ইতিহাস অন্বেষণ করে।



প্রায়শই এই বিষয়গুলি সামনে আসে যে গীতা প্রেস বন্ধ হওয়ার পথে। এর জন্য বারবার বলা হয় যে গীতা প্রেসকে সাহায্য করতে হবে। কিন্তু তদন্ত করার পর জানা যায় যে এই সমস্ত বিষয়গুলি কেবলই গুজব।



সেখানকার লোকজন আরও জানান, এ ধরনের মিথ্যাচার করে মানুষ গীতা প্রেসের নামে চাঁদাবাজি করে। গীতা প্রেস দেশের এমন একটি ঐতিহ্য, যেখানে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করা হয় না। এখানে ধর্মের উদ্দেশ্যে সৎভাবে কাজ করা হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad