ছোট্ট ডিম কিন্তু উপকার অনেক - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 2 November 2021

ছোট্ট ডিম কিন্তু উপকার অনেক

.com/img/a/




ডিম প্রোটিনের সর্বোত্তম উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আমরা বিভিন্ন ভাবে ডিম খাই । ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার। শীতের মৌসুমে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী।আসলে শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকায় শরীরে বিশেষ শক্তির প্রয়োজন হয়।এ ছাড়া ডিম খাওয়া ত্বক,চোখ ও চুলের জন্যও উপকারী।


 শীতে কি খাবেন: ঠাণ্ডা ঋতুতে শরীর গরম রাখতে এমন খাবার প্রয়োজন, যাতে সুষম পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে।  এছাড়া ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২ দিয়ে শরীরকে পুষ্টি জোগায় এমন খাবার শীতকালে বেশি জরুরি।


  শীতকালে ডিম খাওয়াও বেশি উপকারী কারণ এটি খেলে শরীরে গরম থাকে। ডিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিম সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নও রয়েছে  যেমন শীতকালে কেন ডিম খাওয়া উচিৎ , দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিৎ ?  আসুন জেনে নেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর


 কেন ডিম খেতে হবে: সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, শীতকালে ডিম খাওয়া বেশি উপকারী।  গবেষণায় বলা হয়েছে, শীতকালে ডিম খাওয়া রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক।


 ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর: একটি খবরে বলা হয়েছে, একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৭৭ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।  এ ছাড়া একটি সেদ্ধ ডিমে ০.৬ গ্রাম শর্করা, ৫.৩ গ্রাম চর্বি, ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ২ গ্রাম মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৬ দশমিক ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৬ শতাংশ ভিটামিন এ, ১৫ শতাংশ ভিটামিন বি২ রয়েছে।


 ৯ শতাংশ ভিটামিন বি১২, ৭ শতাংশ ভিটামিন বি৫, ৮৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ২২ শতাংশ সেলেনিয়াম পাওয়া যায়।  যেহেতু শীত মৌসুমে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমে যায়, তাই তা বাড়াতে শরীরের অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়।  ডিম দ্রুত এই অভাব পূরণ করে।


 প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিম খেলে শরীর সবল থাকে।  ডিমে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, প্রোটিন এবং অনেক পুষ্টি উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কার্যকর।


 ডিম আয়রনের ঘাটতি দূর করে: ডিমেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।  ডিম খেলে শরীরের ক্লান্তি কমে যায়।  মাথা ঘোরা হলে ডিম এর জন্য খুবই উপকারী।  শরীরে আয়রনের অভাব থাকলে তা পূরণ করতে ডিমের হলুদ অংশ খান।


 হৃদয় : ডিমে প্রচুর কোলেস্টেরল থাকে তবে এটি হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর নয় কারণ এটি খাদ্যতালিকাগত কোলেস্টেরল।  এটি খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় না।  এই কারণেই ডিম হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।


 চোখ এবং মস্তিষ্ক: ডিমে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।  ডিমে পাওয়া যায় রাসায়নিক কোলিন, যা স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়।  ডিমের ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়।


 ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ: একটি ডিমে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন থাকে।  এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হবে এবং আপনি শক্তি পাবেন।  প্রোটিন শরীরের কোষ মেরামতের কাজ করে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad