আজ,সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে মিশন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে আদালতকে জানিয়েছে, দুই দফায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, হাওড়া, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ২২ জানুয়ারি নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। বাকি পৌরসভার ভোট হতে পারে ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে তাড়াহুড়ো নয়। সব দিক খতিয়ে দেখে খসড়া তৈরি করতে চায় কমিশন। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচনে অশান্তি ঠেকাতে সব বুথে বলপ্রয়োগ ও সিসিটিভি লাগানোসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সোচ্চার। আজ সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন।
বিরোধী দলগুলি কলকাতায় উপনির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। এ বিষয়ে তারা সোচ্চার ছিলেন। আসন্ন প্রাক-নির্বাচনে প্রধান দাবী একদিকে যেমন প্রার্থীরা নিরাপদে মনোনয়ন দাখিল করতে পারেন। অন্যদিকে ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন- এ দুটি বিষয়ই কমিশনের সামনে আনা হবে। প্রচারে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেদিকে কমিশনকে নজর রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, পুর-ভোটের বিষয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনকে একাধিক নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। বলা হচ্ছে, সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা দরকার। প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি নিরাপদে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, ইভিএম সংরক্ষণ করতে হবে। আদালত কার্যত বাদীর সব যুক্তিতে সায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে সমস্ত বুথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে এটি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে আদালত এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত শুনানিতে, সিপিএম এবং বিজেপি উভয়ই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলেছে। আইনজীবীর মতে, কলকাতায় পুর-নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল না। বিজেপির আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ বলেন, "নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। এর আগে কমিশন বলেছিল, ভালো নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু তা হয়নি। তাই বাকি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। আশা করি আজ কমিশনের সামনে এসব বিষয় তুলে ধরা হবে।"
আদালত আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। সেই ফুটেজ পরে খতিয়ে দেখা হবে। এসব বিষয়ে আজ দুপুর ২টায় সর্বদলীয় বৈঠক রয়েছে। এরপর বিকেল চারটায় কমিশনার বৈঠকে বসবেন।
No comments:
Post a Comment