আমাদের খাবার এবং জীবনযাত্রার অনেক অবনতি হচ্ছে। আমরা চিন্তা না করেই অনেক কিছু খাই। ভাজা এবং মশলাদার খাবার আমাদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর স্পষ্ট প্রভাব ফেলে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরের বাইরে ও ভেতর থেকে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যের সাথে, আমাদের লক্ষ্য কিডনি, ত্বক, ফুসফুস এবং অন্ত্রের সুস্থ হওয়া। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কিছু ময়লা জমে গেলে আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।
অভ্যন্তরীণ অস্বাস্থ্যের কারণে মানসিক চাপ, অনিদ্রা, ঠান্ডা ও ফ্লু, বদহজম এবং ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় পড়তে হয়। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অর্থাৎ অঙ্গগুলিকে পুষ্টি প্রদান এবং শিথিল করার জন্য শরীরের অঙ্গগুলির ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিটক্সিফিকেশন কি: ডিটক্সিফিকেশন মানে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেয়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া। শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না, ওজনও নিয়ন্ত্রণ করে। আসুন জেনে নেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য কোন কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল: জীবনযাত্রা স্বাস্থ্যকর হলে শরীর ডিটক্সিফাইড হবে। শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য জীবনধারা ঠিক করা খুবই জরুরি। অ্যালকোহল, ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
তবেই বিষাক্ত পদার্থ দূর হবে। অ্যালকোহল গ্রহণ মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলে, সেইসাথে লিভারের ক্ষতি করে।
হালকা খাবার: ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন, খুব হালকা খাবার খান, এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগাবে। আপনার যদি কোলেস্টেরল বা সুগারের সমস্যা থাকে তবে হালকা খাবার খেলে আপনার কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডিটক্স ড্রিংকস সেবন করুন: শরীরকে ডিটক্স করতে গ্রিন টি, মধু, দারুচিনি, লেবু, ক্বাথ, আদা চা জাতীয় পানীয় পান করুন। এসব পানীয় শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অপরিহার্য। গভীর শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি সারা শরীরে অক্সিজেন ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
No comments:
Post a Comment