বাবার পথে হেটে সুনাম অর্জন করতে, সাড়ে পাঁচ বছর বয়সে বাংলা, হিন্দি গানের সুরে মাউথ অর্গান বাজিয়ে তাক লাগাচ্ছে ঐশিকী।
শৈশবে প্রায় সকলে যখন খেলাধূলা নিয়ে ব্যস্ত। তখন মহিষাদলের বছর সাড়ে পাঁচের ঐশিকী চক্রবর্তী মাউথ অর্গান বাজিয়ে মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। টানা ঘন্টার পর ঘন্টা বাংলা ও হিন্দি গানের সাথে মাউথ অর্গান বাজিয়ে চলেছে ঐশিকি।
তবে ঐশিকীর মাউথ অর্গান বাজানোর পেছনে বাবার অবাদন রয়েছে। কারন বাবা শুধু মাউথ অর্গান শিল্পী নয় নোজ অর্গান শিল্পী নামে খ্যাতি অর্জন করেছেন। লিমকা বুক অফ রেকর্ডয়ে নাম নথিভুক্ত হয়েছে উঁনার।
এমনকি আমাদের প্রিয় দাদা সৌরভ গাঙ্গুলি ঐশিকীর বাবা চয়ন চক্রবর্তীর নোজ অর্গানের সুর শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন। দাদাগিরির ময়দানে গিয়ে সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। দাদা চয়ন চক্রবর্তীর নোজ অর্গান শুনে নিজের হাতে স্বাক্ষরিত একটি ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন।
চয়ন চক্রবর্তী ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেন। বাবা,মা, স্ত্রী ও ছোট্টো ঐশিকীর সংসার চালান। ব্যবসার মাঝে সময় বের করে মাউথ অর্গান চর্চা করেন। অনেকে তার কাছে মাউথ অর্গান শিখতে আসে।
তবে নাম মাত্র অর্থ নিয়ে এলাকার অনেককেই প্রশিক্ষন দিয়ে চলেছে চয়ন। চয়ন জানান, আমরা খুব ছোট থেকে মাউথ অর্গান বাজানো শিখেছিলাম। মুখ দিয়ে বাজাতে বাজাতে মনে হলো নাক দিয়েও বাজানো যায়। চেস্ট করতে করতে এখন টানা কয়েক ঘন্টা নাকের মাধ্যমে মাউথ অর্গান বাজাতে পারি।
মেয়ে ছোট থেকেই দেখতে বাড়িতে মাউথ অর্গানের চর্চা করছে। আড়াই বছর বয়সে ওর মধ্যে শেখার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। তার পর প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক গানের সুরে বাজাতে পারছে সে।
আগামীদিনে একজন ভালো অর্গান শিল্পী হয়ে উঠুক এটাই চান ঐশিকীর বাবা। ঐশিকী জানায়, মাউথ অর্গান বাজাতে আমার খুব ভালো লাগে। পড়াশোনার ফাঁকে বাবার কাছে তালিম নিয়ে থাকি।
বাবার মতোও আগামীদিনে লিমকা বুক অফ রেকর্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড ও গিনিস বুক অফ রেকর্ডে নাম করতে চাই। তাই এখন থেকে তারই প্রস্তুতি শুরু করেছি।
No comments:
Post a Comment