কম পুজিতে বিরাট আয় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 31 October 2019

কম পুজিতে বিরাট আয়



নিজস্ব প্রতিনিধিঃ     আমরা সবাই প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু করতে চাই। আমরা সবাই ভাবি কিভাবে নতুন কিছু করে আয় বাড়ানো যায়,

কম টাকার ব্যবসা করে উন্নতি করা যায়, কিভাবে অল্প পুঁজি দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করা যায়, কম মূলধন নিয়ে কম ঝুঁকির ব্যবসা শুরু করা যায় ইত্যাদি।

এক্ষেত্রে আমাদের কম পুজির লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যেমন -




১) নিত্য ব্যবহার্য পণ্যাদির ব্যবসা - আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

তাই অল্প টাকা দিয়ে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের ব্যবসা লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যায়।যেমন - মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, ঔষধের ফার্মেসি ইত্যাদি।

২) স্থানীয় ও সীমাবদ্ধ চাহিদাবিশিষ্ট পণ্য - ছোট ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মূলধন কম তাই ঝুঁকির পরিমাণ ও কম।

স্থানীয় ও সীমাবদ্ধ চাহিদার পণ্যের ব্যবসা কম পুঁজি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যায়।যেমন - মাছ, মাংস, তরিতরকারি ইত্যাদি ব্যবসা।




৩) কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা - কম ঝুঁকিপূর্ণ অথচ মুনাফার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে সেক্ষেত্রে আটা, ময়দা, ধান, চাল ইত্যাদি অল্প টাকার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত।

৪) পচনশীল দ্রব্যের ব্যবসা - কিছু কিছু পণ্যের ব্যবসায়ে লসের পরিমাণ লাভের চেয়ে অনেক কম। সেক্ষেত্রে দুধ, ডিম,মাছ,

শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি ব্যবসায়ে কম টাকা দিয়ে লাভ করা যায়।




৫) কৃষিজ পণ্যের ব্যবসা - ভারত কৃষিপ্রধান দেশ। তাই এদেশে কৃষি পণ্যের ব্যবসা করে কম পুজি দিয়ে অনেক টাকা আয় করা যায়।

যারা কম টাকা দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের ক্ষেত্রে কম পুজির এসব ব্যবসা উপযুক্ত।

৬) প্রত্যক্ষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান - গ্রাহকদের সরাসরি সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ভিত্তিতে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়।

যেমন - সেলুন, লন্ড্রি, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। এসব ব্যবসায়ের সুবিধা হল সময় কম লাগে, টাকাও কম লাগে এবং ঝুঁকির পরিমাণও কম থাকে।




৭) ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শন - কিছু কিছু ছোট ব্যবসায় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে সফলভাবে পরিচালনা করা যায়।

যেমন - চিত্রকর, কামার, কুমার, স্বর্ণকার ইত্যাদি।

৮) নগদ বিক্রয় - যেসব ব্যবসায়ে নগদ বিক্রয়ের পরিমাণ বেশি থাকে সেসব ব্যবসা অল্প টাকা বা

কম টাকা দিয়ে গঠন ও পরিচালনা করা যায়। যেমন - মিষ্টির দোকান, চা - নাস্তার দোকান ইত্যাদি।




৯) সাময়িক ব্যবসা - কোন বিশেষ মৌসুমে সাময়িকভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা ছোট ব্যবসা হিসেবে পরিচালিত হয়।

যেমন - গ্রাহকদের সরাসরি সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ভিত্তিতে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়।

যেমন - সেলুন, লন্ড্রি, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। এসব ব্যবসায়ের সুবিধা হল সময় কম লাগে, টাকাও কম লাগে এবং ঝুঁকির পরিমাণও কম থাকে।




১০) পরিবর্তনশীল চাহিদাবিশিষ্ট পণ্য - যেসব পণ্যের চাহিদা সদা পরিবর্তনশীল সেসব পণ্যের উৎপাদন ও

বন্টন ছোট ব্যবসায়ের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া সুবিধাজনক। যেমন - পোশাক তৈরি, আসবাবপত্রের দোকান ইত্যাদি।

এসব পণ্যের চাহিদা দ্রুত পরিবর্তন হয় বিধায় কম পুঁজি ও কম ঝুঁকির ব্যবসা হিসেবে সফলতার সাথে পরিচালনা করা যায়।





পি/ব

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad