রসুন চায়ের উপকারিতা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 1 November 2021

রসুন চায়ের উপকারিতা





 রসুন খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।এটি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।এই চা অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।


রসুন চা সাধারণত রসুন, মধু, আদা এবং লেবু দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশি ও ফ্লুর মতো রোগে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও রসুনের চা খুবই উপকারী। রসুন চায়ের উপকারীতা দেখে নেওয়া যাক 


 হজম ভালো হবে: কেউ কেউ রসুনের চা গরম পান পছন্দ করেন, আবার কেউ ঠান্ডা পান করেন।  আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তবে এটি পান করলে আপনার সমস্যা দূর হবে।  এটি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।  এর পাশাপাশি এই চা অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।


 হৃদরোগের ঝুঁকি কমে: রসুন খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।  এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।  রসুনে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  এতে রয়েছে অ্যালিসিন যৌগ, যা রোগের ঝুঁকি কমায়।


 সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রসুনের চায়ে লেবু ব্যবহার করা হয়, যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।  এটিতে উপকারী উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড এবং মনোটারপেনয়েড ডি-লিমোনিন।  লেবুর রস উচ্চ রক্তচাপ কমায়।  একই সময়ে, পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরে, এটি চিনির মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়ক।


 কাঁচা রসুনের সাথে এটি খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।  একই সময়ে, রসুন চায়ে ব্যবহৃত মধু এবং আদার মতো জিনিসগুলি খাওয়াও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।


পদ্ধতি : রসুন চা বেশিরভাগ রসুন, লেবু এবং মধু দিয়ে তৈরি করা হয়।  এটি করতে আপনার এই জিনিসগুলির প্রয়োজন হবে- রসুন তিন কোয়া,৩ কাপ জল, লেবুর রস, দুই চামচ মধু।


প্রথমে রসুন ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।এবার একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে কাটা রসুন দিন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। কাপে ছেঁকে নিন।  চায়ের সাথে রসুনের টুকরোগুলোও ছেড়ে দিতে পারেন।


 এবার চায়ে লেবুর রস ও মধু যোগ করুন।আপনি চাইলে এতে তাজা আদা বা আদার গুঁড়োও যোগ করতে পারেন।


 জেনে রাখা ভালো :রসুন চা পান করার সময় মনে রাখবেন এতে মধুর পরিমাণ যেন বেশি না হয়।  এটি চিনির পরিমাণ বাড়াতে পারে।  সেই সঙ্গে এতে লেবুর রসও মেশানো হয়, যা আপনার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।  রসুন চা পান করার পর আপনার মুখ ধুয়ে নিন।  এতে দাঁতের কোনো ক্ষতি হবে না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad