নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: আজ মহালয়া, এদিন পিতৃ পক্ষের অবসান ও দেবী পক্ষের সূচনা হল। পুরাতন রীতি অনুযায়ী মহালয়ার দিনেই মৃৎ শিল্পীরা মা দুর্গার চক্ষু দান করে থাকেন এবং আজকের দিন থেকেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজার দিন গোনা শুরু; আর কয়েকদিনের অপেক্ষা, তারপরই মায়ের আগমন।
শিলিগুড়ির এক মৃৎ শিল্পী ভূপেশ পাল জানান, পুরাতন রীতি মেনে মহালয়ার সকালে চক্ষু দান করলেও সময়ের অভাবে মহালয়ার পরেও পুজো অধবি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। পাশাপাশি তিনি জানান, আগের বছর সংক্রমণের ফলে তেমন মূর্তির বায়না না থাকলেও এবছর অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি। ভুপেশ বাবু আরও জানান, এবছর ছোটো প্রতিমার চাহিদা অনেকটাই বেশি, ফলে ছোটো মূর্তি গড়তে সময়ও অনেকটাই ব্যয় হয়। তাই শেষ মুহূর্তে বড়ো প্রতিমার বায়না পেলেও সময়ের অভাবে সেই বায়না নিতে পারেননি তিনি।
মহালয়ার সকালে ভূপেশ বাবুর বাড়িতে মূর্তি তৈরির প্রক্রিয়া দেখতে উপস্থিত হয় দুই যুবতী। তাদের মধ্যে একজন জানান, মহালয়ার সকালে তর্পণ দেখতে গিয়েছিলেন ঘাটে। সেখান থেকে ফেরার পথে মায়ের চক্ষু দান প্রক্রিয়া দেখতে ছুটে আসেন মৃৎ শিল্পীর বাড়িতে। পাশাপাশি তিনি জানান, আর হাতে গোনা কয়েকদিনের অপেক্ষার পরেই মা আসছেন, তাই খুব আনন্দিত অনুভব করেছেন। এবছর সকল মানুষের মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা; ২বছর ধরে সকলে সংক্রমণ কালের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন, তাই খুব শীঘ্রই যেন সুস্থ হয়ে ওঠে এই পৃথিবী।
No comments:
Post a Comment