দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) এর কাছে সম্প্রতি এমন এক রোগীর রোগ সামনে এসেছে যার হাড়ের রোগের কারণ খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু পরীক্ষার পর দেখা গেল রোগী কঙ্কাল ফ্লুরোসিসে ভুগছিলেন।
ফ্লুরোসিসে ভোগার কারণে তার শরীরের হাড় দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তার দাঁতও হলুদ হয়ে গেছে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর, এখন রোগীর এই রোগ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সেরে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, যদি কোনো ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে পিঠে ব্যথার সমস্যা থাকে, তাহলে এটিকে শুধু বাত হিসেবে ভাববেন না। এটি ফ্লুরোসিসের একটি রোগও হতে পারে।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS), দিল্লির রিউমাটোলজি বিভাগের ডা. রঞ্জন গুপ্ত বলেন, ৩২ বছর বয়সী এক রোগী তার কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। রোগী পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে শক্ত হওয়া, কাঁধ ও নিতম্বের যন্ত্রণার অভিযোগ করেছিলেন। তার দাঁতও হলুদ হয়ে গিয়েছিল।
এছাড়াও তার রক্ত এবং প্রস্রাবের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষায় জানা গেছে যে রোগী কঙ্কাল ফ্লুরোসিস নামক রোগে ভুগছেন। এই রোগটি উচ্চ ফ্লোরাইডযুক্ত জল পান করার কারণে হয়। এবং হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এই রোগী, তিনি গত আট বছর ধরে এই রোগকে আর্থ্রাইটিস হিসেবে চিকিৎসা করছিলেন।তিনি জানেন না যে তিনি ফ্লুরোসিসের শিকার।
খাদ্য এবং জল পরিবর্তন:ডা. রঞ্জন কুমার বলেছিলেন যে রোগীকে সুস্থ করার জন্য তাকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। রোগীকে জল পরিবর্তন করতে এবং RO jol পান করতে বলা হয়েছিল। রোগী দুই বছর ধরে এই বিষয়গুলি অনুসরণ করে এবং তার সমস্যা ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ডাক্তার বাবু আরও জানান যে এই রোগটি জল খাওয়ার কারণে হয়, তারসাথে এই কারণে, বাড়ির অনেক মানুষ একই সাথে এর শিকার হতে পারে। অতএব, যদি বাড়ির সমস্ত লোক পিঠ বা জয়েন্টে ব্যথার সমস্যার সম্মুখীন হয়, তাহলে এটি হতে পারে ফ্লুরোসিস রোগ।
ফ্লুরোসিসের লক্ষণ:
দাঁতের অতিরিক্ত হলুদ হওয়া।
হাত ও পায়ে সামনের দিকে বা পিছনে মোচড় দেওয়া।
হাঁটুর চারপাশে ফুলে যাওয়া।
বাঁকানো বা বসার সমস্যা।
কাঁধ, বাহু এবং পায়ের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা।
যৌবনে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা যায়।
পেট ভারী।
ডাক্তারবাবুর মতে, এই রোগের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পানীয় জল পরিবর্তন করা। যদি জলে ফ্লুরোসিসের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে অবিলম্বে এই জল খাওয়া বন্ধ করুন। এছাড়াও ডায়েটের বিশেষ যত্ন নিন। যদি পিঠে ক্রমাগত ব্যথা থাকে, তাহলে রক্ত এবং প্রস্রাবও পরীক্ষা করুন। এর সাহায্যে এই রোগ সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
No comments:
Post a Comment