বিজেপি কেন সুকান্ত মজুদারকে রাজ্য সভাপতি করলেন? - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 21 September 2021

বিজেপি কেন সুকান্ত মজুদারকে রাজ্য সভাপতি করলেন?


সৌমিতা চক্রবর্তী, প্রেসকার্ড নিউজ: বেশ কিছু সময় ধরে চলা গুঞ্জন আচমকাই সত্যি হল সোমবার সন্ধ্যায়। বাংলায় বিজেপির সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দিয়ে নতুন মুখ আনল দল। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার। উত্তরবঙ্গ থেকে এই প্রথম কাউকে এত বড় দায়িত্ব দিল গেরুয়া শিবির। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি এখানকার বিজেপি সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে শিবিরের অনেকেই খুশি। কিন্তু যাকে নিয়ে এত আনন্দ এত আলোচনা তাঁর বিষয়ে পুরোপুরি না হলেও কিছু অন্তত জানা উচিৎ। 


চল্লিশোর্ধ ডঃ সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের ভূমিপুত্র হিসেবেই পরিচিত। দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব বলতে উত্তরবঙ্গের কনভেনার ও প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের অবজারভার।‌ তিনি আরএসএসের একজন স্বয়ংসেবক। বালুরঘাট মহাবিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৯৯ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত হন। তাদের একটি শাখা সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। সেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করায় তাকে দেওয়া হয় আরো বড় দায়িত্ব, তিনি হন মহকুমা বৌদ্ধিক প্রমুখ। কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় তখনও পর্যন্ত পা রাখেননি সুকান্ত মজুমদার। 


এরপর কলেজ জীবন শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রি ধারী সুকান্ত দার্জিলিং গভর্মেন্ট কলেজের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক হন। এরপর শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ কলেজ, মালদা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে পা রাখেন রাজনীতির আঙিনায় এবং পা রেখেই নির্বাচিত হন বিজেপির প্রার্থী। জয়টাও আসে এবং লোকসভায় পা রাখেন সুকান্ত মজুমদার। 


সুকান্ত মজুমদার সংসদের তথ্য প্রযুক্তি কমিটি, কমিটি অন পিটিশন, শিক্ষা মন্ত্রকের কনসালটেটিভ কমিটিরও সদস্য। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম সারিতে তাঁকে দেখা না গেলেও সাংগঠনিক স্তরে দায়িত্বভার সামলেছেন বেশ ভালোভাবেই। আর তাই তো তারই পুরস্কার পেলেন দলের কাছ থেকে। সোমবারই সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা চিঠি দিয়ে ঘোষণা করেন তাকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি করার, এতদিন যে পদে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রমোশনটা অবশ্য দিলীপ বাবুরও হয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সে যাই হোক, সুকান্ত বাবুর প্রসঙ্গে ফেরা যাক। 


বেশ শান্ত শিষ্ট, রুচিশীল, সাদাসিধে এবং স্বল্পভাষী বলেই সুকান্ত বাবুর নামডাক তাঁর পরিচিত মহলে। তবে স্বল্পভাষী হলেও মনের ভাব প্রকাশে ভাষার ব্যবহার কোথায় কতটুকু করতে হয়, তা কিন্তু বেশ ভালোভাবেই জানেন সুকান্ত বাবু। এবার নতুন দায়িত্ব পালনে কী কী রণকৌশল তিনি সাজান, তা কেবল সময় বলবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad