প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : ক্যান্সার শারীরিক, মানসিক এবং আবেগগতভাবে যেকারও জন্য বিশাল ক্ষতি করতে পারে। এর কারণে, কেবল একজন রোগীই ক্ষতিগ্রস্ত হন না, পরিবারকেও সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।তবে আপনার ডায়েটে কিছু সুপার ফুড অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি এই ভয়ঙ্কর রোগটি দূরে রাখতে পারেন। সুপার ফুড শুধু আপনাকে সুস্থ রাখতেই সাহায্য করবে না বরং ক্যান্সারের মতো অনেক রোগ থেকেও আপনাকে রক্ষা করতে পারে। রান্নাঘরে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা আমরা ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যবহার করতে পারি।
তুলসী- তুলসীকে বলা হয় ক্যান্সারের ঘাতক। তুলসী নিয়মিত খেলে শরীরের অনেক রোগ দূর হয়। তাই প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি তুলসী পাতা খান। এটি খেলে আপনার কেবল সর্দির সম্ভাবনা কমবে না, ক্যান্সারও কমবে।
গরুর দুধ- গরুর দুধে এত শক্তি থাকে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। নিয়মিত গরুর দুধ খাওয়ার মাধ্যমে, আপনি ক্যান্সারকে আপনার জীবন থেকে দূরে রাখতে পারেন।
হলুদ- আমাদের খাবারে হলুদের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে এবং এটি শুভ কাজে ব্যবহৃত হয়। হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হওয়ায় এর ব্যবহার নিয়মিত নিশ্চিত করা যায়। হলুদ খাওয়া প্রতিদিন ক্যান্সার এড়ানোর একটি সহজ ঘরোয়া উপায়।
জল- সারাদিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ লিটার জল পান করতে ভুলবেন না। শুধুমাত্র বিশুদ্ধ এবং পরিষ্কার জল পান করুন। বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার ছাড়াও রাতে একটি তামার পাত্রে জল রাখুন। এতে ৩ বা ৫ টি তুলসী পাতা রাখুন। ক্যান্সার এড়ানোর জন্য এটি একটি কার্যকর উপায়।
সয়া- ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সয়া কার্যকর। সয়াতে উপস্থিত ওমেগা ৩ পুষ্টি সরবরাহ করে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে পারে। অতএব, আপনার খাবারে বেশি বেশি সয়া ব্যবহার করুন। এটি টিউমার বাড়তে দেয় না এবং এর আকারও হ্রাস করে।
রসুন- রসুন ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি ভালো ওষুধ। যদি একজন ক্যান্সার রোগীর জলে গুঁড়ো রসুন মিলিয়ে পান করতে দেওয়া হয়, তাহলে এটি ক্যান্সার রোগে খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। ক্যান্সার এড়াতে যে কেউ রসুনের জল পান করতে পারেন।
নিম- আয়ুর্বেদে নিম সব রোগ নিরাময় করে বলে মনে করা হয়। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও রয়েছে নিমের। যদি ক্যান্সার রোগীকে প্রতিদিন ৮-১০টি নিম পাতা খাওয়ানো হয়, তাহলে তার স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি শুরু হয়।
অস্বীকৃতি: প্রেসকার্ড নিউজ এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং দাবীকে সমর্থন করে না। এগুলি কেবল পরামর্শ হিসাবে নিন। এই ধরনের কোনও চিকিৎসা/ঔষধ/ডায়েট অনুসরণ করার আগে ডাক্তারের ঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment