অনেক মানুষের ধারণা প্রেগনেন্সির সময় নাকি যৌনমিলন করা উচিৎ না, কিন্তু সেটা একেবারেই ঠিক নয়। গর্ভধারণের প্রথম ৩ মাসে শরীরের মধ্যে একটা ক্লান্তির ভাব থাকে, সব সময় গা গোলাতে থাকে, সেই সময় সঙ্গীর কাছাকাছি আসতে ভালো নাই লাগতে পারে। কিন্তু সাধারণত ৩ মাস পর থেকে অর্থাৎ ৩-৬ মাসের মধ্যে এই গা গোলানো ভাবটা বন্ধ হয়ে যায়। আপনার শরীরে অক্সিটোসিন (প্রেমজ হরমোন) বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আসলে প্রেগনেন্সির দ্বিতীয় ধাপে এসে রক্ত প্রবাহ এবং স্রাব দুটিই বৃদ্ধি পায়। এই কারণে প্রেমজ হরমন নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে চ্যাডউইক-ও বলা হয়। এই সময়টাতে সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার বাসনা আরও বেড়ে যায়। প্রেগনেন্সির সময় যৌনমিলন নিয়ে এমন অনেক কথা বলা হয়, যেগুলি একেবারেই ভিত্তিহীন। এই সংক্রান্ত কিছু স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিৎ। চলুন জেনে নিই, ধারণাগুলো সম্পর্কে।
১) প্রেগনেন্সির সময় যোনি স্ট্রেসের ফলে একটু বৃদ্ধি পায়, ফলে গর্ভাশয়ের বাইরের দিকে মিউকাসের একটা ভারী স্তর জমে যায়। যার ফলে যৌনমিলনের সময়তেও গর্ভাশয়ের মধ্যে বাচ্চা সুরক্ষিত থাকে।
২) অনেক সময় পেটের ভেতরে বেদনার অনুভূতি হয়, কিন্তু এর ফলে যে আপনার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়ে যেতে পারে তার কোন মানে নেই।
৩) এই সময় গর্ভাশয় খুবই স্পর্শকাতর থাকে, সেই কারণে মিলনের পরে সামান্য রক্ত আসতে পারে, এটা খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু যদি ব্লিডিং বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৪) অনেকে মনে করে প্রেগনেন্সির সময় যৌনমিলন করলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আসলে যদি আপনার সঙ্গীর কোনরকম যৌনতা সম্পর্কিত রোগ না থাকে, তাহলে আপনার চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। এই রকম অবস্থায় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুব জরুরি।
একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, প্রেগনেন্সির সময় সেক্স করলে ক্ষতি তো কিছু হয়ই না বরং আপনি লাভবান হবেন। এতে করে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং আপনাদের মধ্যে প্রেম আরও গভীর হবে।
সূত্র: আজকের পত্রিকা
No comments:
Post a Comment