পর্যটনপ্রিয় বাঙালির কাছে শান্ত-নির্জন পরিবেশের জন্য জায়গাটি প্রিয় হয়ে উঠেছে। কথিত আছে, অনেক বছর আগে বনবিভাগের কয়েকজন কর্মী এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রাত্রি হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছে মতো তাঁবু খাটিয়ে এখানে রাত্রিবাস করেন। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয় ইচ্ছে গাঁও। পাহাড়ের কোলে মেঘেদের পাড়ায় যেন সবুজ রঙ দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি গ্রাম ইচ্ছে গাঁও। এখানে পা রাখলেই মনে হবে স্বর্গরাজ্যের দুয়ারে এসেছেন। হাতের নাগালে খেলা করে উড়ন্ত মেঘের দল। লেপচা ভাষায় ইচ্ছে গাঁও-এর অর্থ– সবার উঁচুতে অবস্থিত গ্রাম।
সন্ধে হলে চারপাশে জ্বলে ওঠে আলো– সেই সময় গ্রামটিকে দেখায় চমৎকার। এখানকার বাহারি ফুল আপনাকে মুগ্ধ করে দবে। নির্জানতা প্রিয়দের কাছে ইচ্ছে গাঁও ছুটি কাটানোর সেরা জায়গা হয়ে উঠেছে। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে উপভোগ করা যায় অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ। এই অচেনা দেশে বেড়াতে গেলে মনে আসবে প্রশান্তি। এই গ্রামে বসবাস করেন আনুমানিক ৩০০ জন মানুষ। ইদানীং বাড়িতে বাড়িতে গড়ে উঠেছে পর্যটকদের থাকার জন্য হোম স্টে। এখানে থাকা ও খাওয়ার খরচ বেশি নয়, ১০০০ টাকার মধ্যে। এখানে যাওয়ার পথও সহজ।
শিয়ালদহ থেকে রাতে ৮ টা বেজে ৩০ মিনিটের ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে চেপে পরদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামুন। স্টেশনের বাইরেই মিলবে ভাড়া গাড়ি। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে পৌঁছে যান ইচ্ছে গাঁওয়ে। হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন সিলারি গাঁও থেকে। থাকার জন্য রয়েছে খাওয়াস পরিবারের হোম স্টে।
পি-ব
No comments:
Post a Comment