চিনাবাদাম শীতের মরসুমে বেশিরভাগ মানুষের জন্য একটি টাইম পাস স্ন্যাক্স । এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি স্বাদেও সেরা। চিনাবাদামে এমন অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী করে তোলে। এটি সস্তা, তাই বাজেট অনুযায়ী এটি সবার জন্য উপযোগী। প্রায় সব উপাদানই চিনাবাদামে থাকে, যা কাজুবাদামে পাওয়া যায়। তবে এটি কাজুবাদামের মতো ব্যয়বহুল নয়।
প্রতিদিন এটি খেলে আপনার কখনই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না। এটি হজমশক্তির উন্নতিতেও কার্যকর। শীতে চিনাবাদাম খেলে শুধু ওজনই কমবে না, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
জেনে অবাক হবেন যে চিনাবাদাম কাশি প্রতিরোধেও কার্যকর। প্রতিদিন এটি খেলে ফুসফুস শক্তিশালী হয়। হজম শক্তি শক্তিশালী হয়। ক্ষিদে না লাগলে চিনাবাদাম খান, খাওয়ার ইচ্ছা বাড়বে।
চিনাবাদামের লাল ঝিল্লি একেবারেই খাবেন না। আপনি যদি চিনাবাদাম খাওয়ার সাথে সাথে জল পান করেন তবে তা করবেন না। আধা ঘণ্টা পর জল পান করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনাবাদাম ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
চিনাবাদামে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এর পাশাপাশি এতে আরও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়।
চিনাবাদাম খেলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকবে। নিয়মিত একটু চিনাবাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যায়।
আপনি যদি বার্ধক্য এড়াতে চান তবে এর লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে চিনাবাদাম খাওয়া সঠিক বলে মনে করা হয়। এটি প্রোটিন, চর্বি, ফাইবার, খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই এটি খেলে ত্বক অনেকদিন তরুণ থাকে। মুখের বলিরেখা কমাতে চিনাবাদাম তেল দিয়েও ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ রাখবে।
চিনাবাদামেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সত্যি কথা হল এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং সস্তা একটি ড্রাই ফ্রুট। এটি খেলে হাড়ও মজবুত হয়।
No comments:
Post a Comment