করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ 'ওমিক্রন'-এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তবে এটি মোকাবেলার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সেই কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) আসামের ডিব্রুগড়ে একটি নতুন কোভিড টেস্ট কিট তৈরি করেছে। এই কিটের মাধ্যমে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্ত করা যাবে।
আমাদের দেশের অনেক রাজ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, তবে ওমিক্রন শনাক্ত করার গতি বাড়াতে এই কিটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে। উল্লেখ্য, দিল্লী, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ ও চন্ডীগড় মিলে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত এবং এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার জন্য বাজারে উপলব্ধ কিট দিয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সনাক্ত করতে তিন থেকে চার দিন সময় লেগে যাচ্ছে।
কিন্তু এখন ওমিক্রন দ্রুত ধরা পড়বে, মাত্র দু ঘন্টায়। কারণ ICMR-এর আঞ্চলিক কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) একটি কিট তৈরি করতে সফল হয়েছে যা কম সময়ে ওমিক্রনকে শনাক্ত করে। এই কিট সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে কাউন্সিলের বিজ্ঞানী ডক্টর বিশ্বজ্যোতি বোরকাকোটি বলেন, এটি নিজেই একটি বড় ব্যাপার। তিনি বলেন যে, ওমিক্রন শনাক্ত করতে কমপক্ষে ৩৬ ঘন্টা সময় লাগে, সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে। এমতাবস্থায়, এই কিটটি আসার সাথে সাথে এটি খুব সহজ হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল শীঘ্রই পাওয়া যাবে।
এই কিট কীভাবে কাজ করে
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর মতে, কলকাতার কোম্পানি জিসিসি বায়োটেক সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে এই কিট তৈরি করছে। ডাঃ বোরকাকোটি বলেন যে, এই কিটটি বিশেষভাবে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সিন্থেটিক জিনের টুকরার উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি এটিকে খুব বিশেষ অঞ্চলের স্পাইক প্রোটিন এবং সিন্থেটিক জিনের টুকরো দিয়েও পরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়েছে শতভাগ সঠিক। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই মাসে, ডাঃ বোরকাকোটির নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল করোনা ভাইরাসকে আইসোলেট করতে সফল হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment