হাওড়ায় মদ্যপ মহিলার তাণ্ডব, সাহায্য করতে এসে বিপাকে তিন যুবক! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 30 December 2021

হাওড়ায় মদ্যপ মহিলার তাণ্ডব, সাহায্য করতে এসে বিপাকে তিন যুবক!


হাওড়া: মদ্যপ মহিলার তান্ডব হাওড়ার সাঁকরাইলে। পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও এটিএমের দরজার কাঁচ ভাঙচুর। সাহায্য করতে এসে বিপাকে তিন যুবক। আটক করে রাখা হল থানায়। 


বুধবার রাতে রেস্তোরাঁ থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি ফিরছিলেন তিন যুবক। ফেরার পথে ওই তিন যুবক দেখতে পান হাওড়ার আন্দুল রোডে একটি এটিএম কাউন্টারের মধ্যে এক মহিলা বিবস্ত্র এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাকে দেখতে ভিড় করে বহু মানুষ। ওই মহিলাকে দেখার পরেই তড়িঘড়ি ওই তিন যুবক গাড়ি থেকে নেমে ওই মহিলার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। এরপর তারা মহিলার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারে ওই মহিলা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন। আর নেশায় বুঁদ হয়েই তিনি এটিএমে ভাঙচুর করেছেন। ভাঙচুরের ফলে সেই কাঁচ ছিটকে তার নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। 


এরপরই তারা সাঁকরাইল থানায় খবর দেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। নেশার ঘোরে ওই মহিলা পুলিশকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং তাদের তাড়া করেন। ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশ কর্মী না থাকায় বেশ সমস্যায় পড়েন পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় মহিলা পুলিশ।


ওই তিন যুবক ও সঙ্গে মহিলাকে  করে নিয়ে পৌঁছানো হয় হাওড়া সাঁকরাইল গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে ওই মহিলার প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। কিন্তু সেখানেই রেখে দেওয়া হয় তিন যুবকে। সাঁকরাইল থানার বড়বাবু নির্দেশ ওই তিন যুবককে রেখে দেওয়া হয় থানার আইও রুমে। এরপরে তিন যুবক জানতে চান তাদের কেন থানার মধ্যে আটকে রাখা হচ্ছে? এদের মধ্যে এক যুবক শৌণক দাশগুপ্ত বলেন, তার বউ অন্তঃসত্ত্বা এবং শারীরিক কারণে শৌণক বাবুর রাতে ওষুধের প্রয়োজন হয় এবং তার বাড়ির লোক অপেক্ষা করছে কিন্তু কোন কথায় কর্ণপাত করেননি থানার বড়বাবু। কেনই বা তাদের নাম-পরিচয় পত্র জমা রেখে এবং গাড়ির নাম্বার নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হল না। এই ঠান্ডার মধ্যে পুলিশের সহযোগিতা ও মানবিকতা দেখাতে গিয়ে রাতভর তাদের থানায় আটকে রাখা হল, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  


ওই যুবকদের অভিযোগ, তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তবুও তাদের রাতভর থানায় আটকে রাখে পুলিশ। 


যদিও এই প্রসঙ্গে সাঁকরাইল থানার তরফে দাবী করা হয়, ওই তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পাশাপাশি তারা নিজেদের পুলিশ কর্মী বলেই দাবী করেন। তাদের গাড়িতে পুলিশের ভুয়ো স্টিকারও উদ্ধার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। সেকারনে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মদ্যপ মহিলাকে এটিএম ভাঙচুর ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অপরাধে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। তার শরীরে গুরুতর আঘাত থাকায় হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতা থেকে কোনও পরিচিতের কাছে এসেছিলেন ওই মহিলা। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। নেশা করে কেন এমন ঘটনা ঘটালেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad