নাগাল্যান্ডের নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় সেনা কর্মীদের জেরা সাফ হয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে, নাগাল্যান্ডের মান জেলার ওটিং গ্রামে সেনাবাহিনীর প্যারা-স্পেশাল ফোর্স ১৪ জন নিরীহ স্থানীয়কে গুলি করে খুন করেছিল। আর এ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যানবাহন থামাতে না পারায় বাসিন্দাদের ওপর সরাসরি গুলি চালায় সেনাবাহিনী। রাতেই মৃত গ্রামবাসীর পোশাক বদলানোর চেষ্টা করা হয়। বিরোধী দলগুলি বিধানসভা বয়কটের ডাক দেয়। ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। এবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেনাবাহিনী সেই অনুমতি দিয়েছে।
নাগাল্যান্ডের ঘটনার পর থেকে AFSPA প্রত্যাহারের দাবী উঠেছে পুরোদমে। এদিকে AFSPA এর মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। ৪ ডিসেম্বরের ঘটনার পর নাগা বাসিন্দারা এই অভিযানে জড়িত সেনাদের কঠোরতম শাস্তির দাবী জানায়। সব বিরোধী দল তার কণ্ঠে স্লোগান দিচ্ছে। নাগাল্যান্ড গণহত্যার তদন্তে সেনাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সেনাবাহিনী অবশেষে রাজ্যের বিশেষ তদন্ত দলকে অনুমতি দিয়েছে। বুধবার, রাজ্য পুলিশ বলেছে যে বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মী এবং অফিসারদের বিবৃতি রেকর্ড করবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৪ জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য একটি 'সিট' গঠন করা হয়েছিল। নাগাল্যান্ডে নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যার পর AFSPA প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। গত রবিবার বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিফিউ রিও, নাগাল্যান্ডের উপমুখ্যমন্ত্রী ওয়াই প্যাটন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং নাগা পিপলস ফ্রন্ট লেজিসলেটিভ পার্টির নেতা টিআর জেলিয়াং উপস্থিত ছিলেন। নাগাল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, নাগাল্যান্ড থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্যানেলকে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এদিকে, মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে বলে খবর রয়েছে।
No comments:
Post a Comment