গরম দুধ না ঠাণ্ডা দুধ! জেনে নিন কোনটি আপনার জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 30 December 2021

গরম দুধ না ঠাণ্ডা দুধ! জেনে নিন কোনটি আপনার জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর


আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি পরিবারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যগুলি। এক গ্লাস দুধ প্রতিটি শিশুর দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ। প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ হল পুষ্টির ভান্ডার।


অনেকে দুধ গরম পান করতে পছন্দ করেন, কেউ কেউ ঠান্ডা দুধ পান করতে পছন্দ করেন। ঠান্ডা দুধ হোক বা গরম দুধ, উভয়েরই রয়েছে নিজস্ব উপকারিতা। এখানে গরম এবং ঠান্ডা দুধের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং কখন পান করা উচিৎ, তা জানানো হল।


গরম দুধ পানের উপকারিতা:

ভাল ঘুম

 ঘুমের আগে গরম দুধ পান করলে ভালো ঘুম হয়। দুধে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। দুধ গরম করা হলে এই অ্যাসিড সক্রিয় হয়।


ঠান্ডার জন্য চিকিৎসা:

 ঠান্ডা এবং ফ্লু নিরাময়ের জন্য উষ্ণ দুধ এবং মধু পান করা একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার। পানীয়টির একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়, যা আপনাকে এই জাতীয় অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।

 

মহিলাদের কঠিন  সময়কালে আরাম দেয়

মহিলাদের কঠিন  সময়কালে হলুদ মিশ্রিত গরম দুধ খুব উপকারী। দুধে পটাসিয়ামের উপস্থিতি ক্র্যাম্প প্রশমিত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে গরম দুধে হলুদ যোগ করলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।


ঠান্ডা দুধ পানের উপকারিতা: 

ত্বকের জন্য ভালো:

ঠান্ডা দুধে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখবে। ঠান্ডা দুধ পানের সবচেয়ে ভালো সময় হল সকাল।


ওজন কমাতে সাহায্য করে:

বিশ্বাস করুন বা না করুন, ঠান্ডা দুধ আসলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা দুধে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি আপনার শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে এবং এইভাবে আরও ক্যালোরি পোড়ায়। এক গ্লাস দুধ পান করলে আপনার পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় স্ন্যাকিং এড়াতেও সাহায্য করে।


পেটের আলসার থেকে মুক্তি দেয়:

 আপনি যদি প্রায়ই পেটের আলসার এবং অ্যাসিডিটিতে ভুগে থাকেন তবে ঠান্ডা দুধ একটি জাদু প্রতিকারের মতো কাজ করে। আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভুগছেন তবে আপনি এক গ্লাস ঠান্ডা দুধে এক টেবিল চামচ ইসবগুল যোগ করতে পারেন, কারণ এটি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের প্রতিকার হিসাবে কাজ করে।


মনে রাখবেন যে আপনার শীতকালে ঠান্ডা দুধ পান করা এড়িয়ে চলা উচিtৎ কারণ এর ফলে সর্দি এবং কাশি হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad