করোনা ভ্যাকসিনের প্রিকৌশন ডোজ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 28 December 2021

করোনা ভ্যাকসিনের প্রিকৌশন ডোজ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের


নয়াদিল্লি: করোনার (কোভিড-১৯) ক্রমবর্ধমান গ্রাফের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিনের বুস্টার/প্রিকৌশন ডোজ নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও শংসাপত্র ছাড়াই ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা বুস্টার ডোজ পাবেন। গুরুতর অসুস্থ ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরাও একটি বুস্টার ডোজ পাবেন। বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য তাদের টিকা কেন্দ্রে কোনও শংসাপত্র দেখাতে হবে না। উল্লেখ্য, বুস্টার ডোজের পরিবর্তে একে প্রিকৌশন বা সতর্কতামূলক  ডোজ হিসেবেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। 


যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন তারাও বুস্টার ডোজ পাবেন

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সবাইকে করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।


বয়স্ক এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা

১০ জানুয়ারি থেকে, বয়স্ক এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের একটি প্রিকৌশন ডোজ দেওয়া হবে। এর জন্য, ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং গুরুতর স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত অসুস্থ ব্যক্তিদের কোনও ধরনের মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখানোর প্রয়োজন হবে না। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক তার নির্দেশিকাতে বলেছে যে, এই ধরনের ব্যক্তিদের প্রিকৌশন ডোজ নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

                                          

১৫-১৮ বছর বয়সীদের জন্যও নির্দেশিকা

স্বাস্থ্য মন্ত্রক ১৫-১৮ বছর বয়সীদের জন্যও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সরাসরি টিকাদান কেন্দ্রে গিয়েও ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। যদি ভ্যাকসিনের স্লট পাওয়া যায় তাহলে কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন হবে না। নির্বাচনী রাজ্যগুলিতে দায়িত্বে নিযুক্ত কর্মীদের ফ্রন্টলাইন কর্মী হিসাবে গণনা করা হবে এবং তারাও একটি বুস্টার ডোজ পাবেন।


কোন রোগে বয়স্করা বুস্টার ডোজ পেতে পারেন?

সতর্কতামূলক মানে একটি সতর্কতা হিসাবে প্রয়োগ করা একটি ভ্যাকসিন। অর্থাৎ, এই ডোজটি সতর্কতা হিসাবে প্রয়োগ করা হবে। আর শুধুমাত্র সেইসব মানুষ, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি হবে এবং যাদের কোনও মারাত্মক রোগ আছে। যদি মনে করেন, আপনার বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিদের কোনও গুরুতর রোগ নেই, তবে তাদের এই সতর্কতামূলক ডোজ নেওয়ার দরকার নেই। 


উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ২২টি গুরুতর রোগে আক্রান্ত বয়স্করা এই সতর্কতামূলক ডোজ পেতে পারেন। যেমন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ যাদের আছে তারা। তবে এটি যদি একটি বুস্টার ডোজ হত, তাহলে এতে নির্ধারিত রোগের কথা বলা হত না। তখন ৬০ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের এই ডোজ দেওয়া হত। এটিই হল বুস্টার ডোজ ও সতর্কতামূলক ডোজের মধ্যে পার্থক্য। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad