উষ্ণ দুধ :
গভীর এবং আরামদায়ক ঘুম দিতে পরিচিত উষ্ণ দুধ। এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন বাড়ায় এমন একটি পদার্থ । যা আমাদের সুখের অনুভূতি বাড়ায়। আপনি যদি অনিদ্রায় ভুগছেন, তাহলে ঘুমানোর আগে অবশ্যই গরম দুধ পান করুন।
পুদিনা চা :
এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। পেপারমিন্ট পেশী শিথিল করতে সহায়ক। আপনি যদি রাতে ঘুমাতে না পারেন বা এটি নিয়ে চিন্তা করেন তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ পুদিনা চা পান করা উচিৎ।
চেরি জুস :
দুধের মতো চেরি জুসে ট্রিপটোফেন থাকে। অতএব, এটি হরমোন মেলাটোনিন তৈরি করতে পারে, যা আপনার ঘুমের গুণমানকে উন্নত করে। অনেক গবেষণায় এই রসকে অনিদ্রার চিকিৎসার জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়েছে।
নারকেলের দুধ :
নারকেলের দুধে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম খনিজ উপাদান রয়েছে যা পেশী শিথিল করতে এবং ভালো ঘুমের উন্নতি করতে সক্ষম। এছাড়াও, এটি রক্তচাপ এবং কিডনিতে প্রদাহ কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে, যা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং শিথিল করতে সহায়ক।
কলা :
দুটি মূল খনিজ, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও, কলায় ট্রিপটোফ্যানও রয়েছে, যা পেশী শিথিলকরণের জন্য প্রয়োজনীয়। এই ফলের একটি শান্ত প্রভাব রয়েছে, যা শারীরিক চাপ কমায়। এছাড়াও, এর ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ পেট ভরাট করে এবং তৃপ্তির অনুভূতি তৈরি করে, যা ঘুমের তাগিদ বাড়ায়।
গ্রিন টি :
এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। দিনের যেকোনো সময় গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। যখন ঘুম আসে না , ডিক্যাফিনেটেড গ্রিন টি সবচেয়ে ভাল বিকল্প। এতে থেনাইন থাকে, যা শারীরিক চাপ কমায়, রাতে ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে।
বাদামের দুধ :
বাদামে এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায়, যা গভীর ঘুমের সহায়ক। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, বাদামের দুধ ঘুমের উন্নতির জন্য খুব কার্যকর বলে দেখানো হয়েছে। গরুর দুধের মতো, বাদামের দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা শরীরকে মেলাটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে। এই হরমোন ঘুমের জন্য অপরিহার্য।
No comments:
Post a Comment