ভাত খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তাই লোকেরা প্রায়শই তাদের খাদ্য তালিকায় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রায় প্রত্যেক ভারতীয়ই ভাত খেতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভাত খাওয়া হয়। কেউ ভাতের সাথে সবজি খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ রাজমা। ভাত থেকে অনেক ধরণের খাবারও তৈরি করা হয়। কিন্তু যারা ডায়েট করেন তাদের প্রায়ই ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলতে দেখা যায়। যদিও গরমে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলেই বিবেচিত হয়।
ডায়েট যারা করছেন, ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলেন। কারণ প্রায় সকলেই তারা মনে করেন, ভাত খেলে ওজন বাড়ে। ভাত নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ জেনেই নিন, ভাত কি সত্যিই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ? ভাত খেলে শুধুই ওজন বাড়ে? না কী অন্যান্য উপকারও হয়!
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ
ভাত এমনই একটি খাদ্য উপাদান, যাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। ভাত খেলে শরীরে শক্তি যোগায়, এই শক্তি শরীরের প্রতিটি অঙ্গেরই প্রয়োজন।
চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
লোকেরা প্রায়শই বলে থাকে যে ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় ভাত থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে একথা পুরোপুরি ঠিক নয়, ভাতের মাড় যদি দূর করে খাওয়া হয়, তবে ভাত রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। এ ছাড়া ভাতে ঘি, দই, ও বিভিন্ন সবজি যোগ করে খেলে সুগার লেভেলের ওপর প্রভাব কম পড়ে।
সহজে হজম হয়
ভাত খেতে খুবই সুস্বাদু এবং সহজে হজম হয়। বলা হয়ে থাকে ভাত খেলে ভালো ঘুম হয়। প্রাচীনকালে, চাল ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হত। আজও ভাত খাওয়া হয় শুধুমাত্র পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে। চাল থেকে তৈরি খিচুড়ি সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় এক্ষেত্রে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কার্যকরী
সম্ভবত আপনি জানেন যে চালের কুঁড়া ত্বক সম্পর্কিত অনেক রোগ দূর করতে কার্যকর প্রমাণিত হয় এবং এটি মুখেরও সৌন্দর্য আনে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের বলিরেখা দূর করে এবং ব্রণ দূর করতেও অনেক সাহায্য করে।
ভাত চুল মজবুত করে
চুল লম্বা, ঘন ও মজবুত করতেও ভাত বিশেষ অবদান রাখে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি লম্বা, ঘন চুল চান, তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় ভাত যোগ করতে পারেন।
সোডিয়ামের পরিমাণ শূন্যের সমান
বলা হয়, ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ নগণ্য। যার কারণে রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীরা প্রতিদিন এটি খেতে পারেন। তবে তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment