রাজ্যে ফের বৃষ্টি হচ্ছে। শীতের মৌসুমে ঠান্ডা গায়েব। তাপমাত্রা বাড়ছে। এদিকে ঘূর্ণাবর্তের কারণে বুধবার রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছর আবহাওয়া একাধিকবার ক্ষিপ্ত মেজাজে দেখা গেছে। উৎসবের মরসুমে আনন্দ বয়ে এনেছে বৃষ্টি। বৃষ্টিও বছর শেষে 'আমন্ত্রিত অতিথি'। সাধারণ মানুষ যখন নতুন বছরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন আবার আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে ঘূর্ণাবর্ত আছড়ে পড়ছে। এর জেরে বুধবার মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি চলবে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এদিকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ছে।
নতুন বছরকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু, আবহাওয়ার গতি কি এই নববর্ষের আনন্দে বাধা দেবে? এই প্রসঙ্গে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রধান গণেশ কুমার দাস অবশ্য বলেছেন যে বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার শহর আংশিক মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা শহরে রাতের তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। গত রাত,মঙ্গলবার রাতে কলকাতার তাপমাত্রা ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেড়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি।
চলতি মৌসুমের শুরুতে শীতকে সেই ফর্মে দেখা যায়নি। তবে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকে। শীত এসে গেছে। কিন্তু, নতুন ঘূর্ণাবর্তের কারণে উধাও ঠান্ডা। শীতপ্রেমীদের প্রশ্ন, নতুন বছরে হাওয়া বদলানোর সম্ভাবনা আছে কি? আলিপুরের মতে, প্রথম থেকে নামতে পারে পারদ। কলকাতা-সহ বহু জেলায় কয়েক ডিগ্রি নেমে যাবে পারদ। অর্থাৎ নতুন বছরে শীত আবারও ঝড়ো ইনিংস খেলতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে বিহারের ওপর দিয়ে ঘূর্ণাবর্ত আছড়ে পড়ছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝাট জানুয়ারির শুরুতে এগিয়ে আসছে। জানা গেছে, ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বাতাসের কারণে পূর্ব ভারতেও বৃষ্টি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment