বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের কাজ করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায় এবং সক্রিয় জীবন না থাকার কারণে তাদের শারীরিক শক্তির পাশাপাশি তাদের মানসিক শক্তিও ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
এমতাবস্থায় একাকীত্ব ও দুঃখ তাদের ঘিরে ধরে এবং তারা অসহায় বোধ করতে থাকে। তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার অভিযোগও বেড়ে যায় এবং তারা খিটখিটে হয়ে পড়ে। বার্ধক্যের লক্ষণগুলি এড়িয়ে সুস্থ এবং শীতল জীবনযাপন কীভাবে করা সম্ভব দেখে নেওয়া যাক
বৃদ্ধ বয়সে সুস্থ থাকার উপায়: ডায়েট : সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। যেমন, শুধু সুষম খাবার খান, খাবার এমন হওয়া উচিৎ যাতে সহজে হজম হয়, অল্প অল্প করে কিছু সময়ের ব্যবধানে খেতে হবে।
খাবারের পরিকল্পনা : সকাল ৭:৩০ থেকে ৮:৩০ এর মধ্যে একটি বা দুটি মৌসুমী ফল, অঙ্কুরিত শস্য, স্কিমড মিল্ক, পোরিজ বা খিচুড়ি দিয়ে জলখাবার খেতে পারেন।
১২টা থেকে ১ টার মধ্যে দুপুরের খাবার খান। এর মধ্যে সবুজ শাকসব্জি বা টমেটোর স্যুপ, স্যালাড খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে খান।
সবুজ শাকসব্জি সেদ্ধ খাওয়া ভালো হবে। এ ছাড়া এক বা দুটি রুটি তুষের আটার সঙ্গে দিনে একবার দই খান।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে খান। এতে পাতলা মসুর ডাল, রান্না বা সেদ্ধ সব্জি, এক বা দুটি রুটি খেতে পারেন।
অ্যালকোহল এবং ধূমপান একটি সুস্থ জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা। তাদের আসক্তি অনেক রোগের জন্ম দিতে পারে। এর ফলে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হতে পারে এবং রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য টিপস:
জীবনের গল্প বলার বা লেখার অভ্যাস করুন।
বাগান করা খুব ভালো উপায়।
মানসিক ব্যায়ামের জন্য ভিডিও গেম খেলুন।
সক্রিয় থাকুন: যতদূর সম্ভব নিজের কাজ নিজেই করুন। বেড়াতে যান, লোকজনের সাথে দেখা করুন। খোলা জায়গায় বসুন এবং চেয়ারে বসে প্রাণায়াম ও যোগাসন করুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আপনি যদি অল্প বয়স থেকেই স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন তবে এটি আপনার বার্ধক্যের লক্ষণগুলি প্রায় ২০ বছর কমাতে পারে। এ জন্য সব সময় মানসিকভাবে সক্রিয় থাকাও খুবই জরুরী।
No comments:
Post a Comment