পাকস্থলীতে ক্যান্সার হলে রোগীরা অনেক কিছু অনুভব করতে শুরু করে। কিন্তু লক্ষণ না জানার কারণে তারা চিকিৎসা করতে পারে না। তাই আজকে আমরা আপনাকে এর কিছু লক্ষণ বলব, যাতে আপনি সময়মতো সতর্ক হতে পারেন।
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ: গিঁট বা পিণ্ড: পাকস্থলীতে ক্যান্সার হলে লসিকা গ্রন্থিতে পিণ্ড দেখা দেয়। লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি ক্যান্সারের একটি উপসর্গ। এই পিণ্ড যেকোনও জায়গায় থাকতে পারে, যার কারণে ব্যথা হয় ও ফুলে যায়।
ক্ষিদে মরে যাওয়া: পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণে ক্ষিদে কমতে শুরু করে কারণ টিউমারের সময় বোঝা যায় আপনার পেট ভরে গেছে, যার কারণে আপনার ক্ষিদে কম লাগে, আপনি খাবার কম খান।
এ কারণে রোগীর ওজনও দ্রুত কমতে থাকে। যদি আপনার ওজন দ্রুত কমতে থাকে, আপনি ক্ষুধার্ত না থাকেন, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পেট ব্যথা: পেটে ব্যথাও টিউমার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অনেকেই ভাবেন এটা এমন কিছু না। কিন্তু এই ভাবে উপেক্ষা করা ঠিক নয়, কারণ টিউমারের একটা লক্ষণ হল পেটে ব্যাথা হওয়া।
আবার আপনি যদি পেটের উপর ফোলা অনুভব করেন তবে এটি কোলন ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। সমস্যা দ্রুত আসতে শুরু করে
পাকস্থলীর ক্যান্সারের সময়।
এই সময় যে কোনও কিছু খেলে অন্ত্রে সমস্যা হয়। যখন টিউমার হয়, তখন খাবারের নালী পাকস্থলীতে অনেক প্রভাব ফেলে, যার কারণে আপনি যা খান তা লেগে থাকতে অনেক সমস্যা হয়।
রক্তপাত: এটি কোলন ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় কারণ, যা মানুষ প্রায়ই উপেক্ষা করে। সেই লক্ষণ হল মলত্যাগের সময় রক্তপাত। ক্যান্সার যখন উন্নত পর্যায়ে পৌঁছায় তখন এই লক্ষণগুলো দেখা যায়।
তবে, অর্শ বা অন্য যে কোনও রোগ বলে এই উপসর্গটিকে উপেক্ষা করবেন না, বরং শীঘ্রই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।
No comments:
Post a Comment