দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দুর্যোগ বাড়ছে। এ পর্যন্ত মোট ১৪৫ টি সংক্রামিতের রিপোর্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিগুণ হুমকির মুখে পড়েছে দেশ। প্রথম বিপদ সরকারের নীতি এবং দ্বিতীয় বিপদ জনগণের অবহেলা। নতুন বছর নতুন ঝামেলা নিয়ে আসতে পারে।
ভারতে মোট সংক্রমণ - ১৪৫
মহারাষ্ট্রে ৪৮
দিল্লীতে ২২
তেলেঙ্গানায় ২০
রাজস্থানে ১৭
কর্ণাটকে ১৪
কেরালায় ১১
গুজরাটে ৭
উত্তরপ্রদেশ ২
অন্ধ্রপ্রদেশে ১
চণ্ডীগড়ে ১
তামিলনাড়ুতে ১
নাভি মুম্বাইয়ের ঘানসোলির শেতকালি বিদ্যালয়ে ১৮ জন শিশু করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, যার পরে সাত দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনার পর ৮০০ শিক্ষার্থীর করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নাগপুরেও এক স্কুল ছাত্রের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এখন জিনোম সিকোয়েন্সিং থেকে জানা যাচ্ছে ওমিক্রন আছে কি না?
একই সময়ে, ওমিক্রনের হুমকির মধ্যে, আগামীকাল, সোমবার থেকে দিল্লীতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলগুলি আবার খুলবে। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে শিশুদের স্কুল খোলা হয়েছে। মোট ৪৮টি ওমিক্রন সংক্রমণ কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে স্কুল খোলা হয়েছে। দিল্লীতে ওমিক্রনের ২২ সংক্রামিত রয়েছে তবে স্কুলগুলি খোলা রয়েছে। চণ্ডীগড়ে ওমিক্রনের এক সংক্রামিত আছে। কিন্তু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি বলে যে স্কুল খোলার বিষয়ে দেশে কোনও একক নীতি নেই।
ওমিক্রনের হুমকির কারণে দিল্লী সরকার ৪টি বেসরকারি হাসপাতালকে ডেডিকেটেড সেন্টার করেছে। এই চারটি হাসপাতাল হল-
গঙ্গারাম হাসপাতাল
sax saket
ফোর্টিস বসন্ত কুঞ্জ
বাত্রা হাসপাতাল, তুঘলকাবাদ
আগে শুধুমাত্র লোকনায়ক হাসপাতালই ওমিক্রনের ডেডিকেটেড সেন্টার ছিল। অর্থাৎ ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লী সরকার।
উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী রাজ্যের গাজিয়াবাদে দুটি ওমিক্রন সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, যার উৎসটিও জানা যায়নি। এমতাবস্থায় সমাবেশ ও সফরে ভিড় ওমিক্রনের বিপদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ওমিক্রন আসে এবং দ্রুত যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপের উদাহরণও একই কথা বলছে। সময়মতো শিক্ষা নিলে ভালো, অন্যথায় এই অবহেলা ও ভুল নীতির ফল দেশকে ভোগ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment