দক্ষিণ চীন সাগর চীনা হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তু বলে দাবী করছে দেশগুলো

চীন থেকে সম্ভাব্য সরকার-স্পন্সরড হ্যাকাররা ব্যাপকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সরকারী এবং বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করছে, যার মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ব্যক্তিরা।  বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বেসরকারি সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি।

ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক রেকর্ডেড ফিউচারের একটি সতর্কতা গবেষণা সংস্থা ইনসেক্ট গ্রুপের মতে, হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্য থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সামরিক বাহিনী, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের নৌবাহিনী, ভিয়েতনামের জাতীয় পরিষদ এবং এর কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অফিস, এবং মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

গ্রুপটি বলেছে যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উচ্চ-প্রোফাইল সামরিক এবং সরকারী সংস্থাগুলিকে হ্যাকাররা 'ফানিড্রিম' এবং 'চিনক্সি'-এর মতো সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু করেছে।  সফ্টওয়্যারটি সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ নয় তবে চীনের সরকার-স্পন্সর করা কয়েকটি গোষ্ঠী ব্যবহার করে বলে মনে করা হয়।

চীন অভিযোগের জবাব দেয়নি

একইসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও এসব অভিযোগের জবাব দেয়নি।  অতীতে, চীনা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগতভাবে হ্যাকিংয়ের জন্য কোনও ধরনের সরকারি সহায়তা অস্বীকার করেছে এবং পরিবর্তে বজায় রেখেছে যে চীন নিজেই সাইবার আক্রমণের একটি প্রধান লক্ষ্য।

'ইনসেক্ট গ্রুপ' জানিয়েছে যে সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে শীর্ষ তিনটি দেশ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনাম।  এর পাশাপাশি মিয়ানমার, ফিলিপাইন, লাওস, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং কম্বোডিয়াও হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তু।  সংস্থাটি জানিয়েছে যে অক্টোবরে এই প্রতিবেদনের ফলাফল সম্পর্কে সমস্ত দেশকে অবহিত করা হয়েছিল। ২০২১ সালে, ইনসেক্ট গ্রুপ দক্ষিণ চীন সাগরের দাবীকারী ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সামরিক স্থাপনা এবং সরকারী বিভাগগুলিকে লক্ষ্য করে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযান সনাক্ত করেছে।  এদিকে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডেও কিছু সংগঠনকে টার্গেট করা হয়েছে।