চীন এখন তার প্রতিবেশী ভারতকে ঘিরে রাখতে এবং ভারত মহাসাগরে তাদের অনুপ্রবেশ জোরদার করতে বাংলাদেশের সাহায্য নিচ্ছে। আগামী সপ্তাহে চীন থেকে প্রায় ২৫০ সাবমেরিন ও নৌ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে আসছে, যেখানে তারা এক বছর থাকবেন। এই বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করবেন, যেটি নির্মাণ করবে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পলি টেকনোলজি ইনকর্পোরেটেড।
এটি ভারতের জন্য আরও উদ্বেগের বিষয় কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে চীন ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পিটিআই-এর ২৩৫ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছাবেন এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে থাকবে। এই বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি বিএনএস শেখ হাসিনার নির্মাণ কাজ তদারকি করবে।
২০২৭-২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে চীনা ঘাঁটি প্রস্তুত হবে
এই ঘাঁটি নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০৩০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার অধীনে চীনা কোম্পানি পিটিআইকে ঘাঁটি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই বেসটি ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। চীন ২০১৩ সালে বাংলাদেশের কাছে তার দুটি পুরানো ০৩৫বি শ্রেণীর সাবমেরিন বিক্রি করে, যেটি ২০১৬-১৭ সালে নৌযাত্রা এবং জয়যাত্রা নামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম সাবমেরিন হয়ে ওঠে।
অস্ত্র মজুদ তৈরি করা হচ্ছে
নতুন সাবমেরিন ঘাঁটিতে সাবমেরিন রাখা, মেরামত, প্রশিক্ষণ, পরিচালনার পাশাপাশি অস্ত্রের মজুদও তৈরি করা হচ্ছে। গত দুই বছরে কাজের গতি মন্থর ছিল কিন্তু এখন চীনা বিশেষজ্ঞরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্ব উপকূলে চীনের নজর
এই ঘাঁটি তৈরি হলে ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্ব উপকূলের ঘাঁটিগুলি সরাসরি চীনের নজরে আসবে। বিশাখাপত্তনমের মতো অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘাঁটিও রয়েছে যেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিন বাস করে। চীন ২০০০ এর দশক থেকে ভারতের আশেপাশের দেশগুলিতে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে।
এগুলো চীনা সেনাবাহিনীর নতুন ঘাঁটি
পাকিস্তানের গোয়াদর এবং শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর এখন চীনা নৌবাহিনীর নতুন ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রূপে ভারত মহাসাগরে নতুন খেলোয়াড় অবতরণ করে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment