ডিম্বাশয়ে যে কোনও ধরনের রোগ বারবার দেখা দিলে তা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নেয়। এই ক্যান্সার প্রথম দেখা দেয় ডিম্বাশয়ের বাইরের স্তরে। ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ প্রকারকে এপিথেলিয়াল ওভারিয়ান ক্যান্সার বলা হয়। সাধারণত নারীরা এই ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুহারের দিক থেকে এটি পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এই ক্যান্সারের কারণে মহিলারা তাড়াতাড়ি মৃত্যুর পথে পা বাড়ায়, কারণ তারা এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলি বুঝতে পারে না। এর পাশাপাশি এই ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার অভাবও রয়েছে।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ: এই ক্যান্সারের প্রথম দিকে পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। ক্ষিদে কম লাগে এবং কম খেলেও পেট ভরে যায়। হজমশক্তিও খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়া যাদের পরিবারে এই রোগ আছে, সেই সব মহিলাদের এই ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি।
৪০ বছর বয়সের আগে স্তন ক্যান্সার হলে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া যেসব নারী হরমোন চেঞ্জ থেরাপি পান। তাদের এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদিও এই ক্যানসারের কোনো বয়স নেই, কিন্তু যেসব নারীর মেনোপজ হয়েছে, সেই নারীরাই এই ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হন।
এই ক্যান্সার এড়াতে নারীদের যতটা সম্ভব শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিৎ । বুকের দুধ খাওয়ানোর কারণে ফ্যালোপিয়ান এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হয় না। এছাড়া এই ক্যান্সার দূর করতেও যোগব্যায়াম খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment