বাবা ও মেয়ের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ ধর্মেই, মেয়ের বিয়ের পরেই বাবা শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেন। কিন্তু ইরানে বাবা ও মেয়ের জন্য একটি অনন্য আইন বিদ্যমান। যার অধীনে বাবা তিনি ইচ্ছা করলে নিজের মেয়েকে বিয়ে করতে পারেন।এটা করা অপরাধ বলে গণ্য হবে না।এর জন্য মেয়ের বয়স ১৩ বা তার বেশি হতে হবে।
বলা হয়, ইরানে ১৩ বছর বা তার বেশি বয়সী দত্তক নেওয়া মেয়েদের তাদের বাবার সামনে হিজাব পরতে হয়। পিতা তার দত্তক কন্যাকে বিয়ে করতে পারেন যাতে মেয়েরা বোরকা পরা থেকে মুক্তি পায়। এই অদ্ভুত আইনটি তৈরি করেছে ইসলামিক কনসালটেটিভ অ্যাসেম্বলি, যা মজলিস নামেও পরিচিত। এই আইনটি ২০১৩ সালে পাশ হয়েছিল। এ ধরনের বিয়ের জন্য বাবার সামনে দুটি শর্ত রয়েছে। প্রথম শর্ত, কন্যার বয়স ১৩ বছর বা তার বেশি হতে হবে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বাবাকে যুক্তি দিতে হয় যে তিনি মেয়ের উন্নতির জন্য এই কাজ করছেন। তবে এই অদ্ভুত আইন নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। লোকেদের মতে, বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে লজ্জা দেওয়ার জন্য এই আইন।
ইরানে নারীদের বিষয়ে আরও অনেক অদ্ভুত আইন রয়েছে। এর আওতায় নারীদের অ-পুরুষের সঙ্গে করমর্দন করাও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। পাবলিক প্লেসে কোনো নারী অন্য পুরুষের সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা গেলে তাকে জরিমানা করা হয়। শুধু তাই নয়, তাকে কারাদণ্ডও দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া নারীদের তালাক দেওয়ার অধিকার নেই। এমনকি যদি তিনি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন, তবুও তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন না।
No comments:
Post a Comment