প্রেমের বিয়ে: ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন বাবার, সঙ্গ দিল ভাই

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে অনার কিলিং-এর ঘটনা সামনে এসেছে। সমসগড়ের জঙ্গলে পাইলোটার কাছে একটি মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবী, মামলাটি অনার কিলিং সংক্রান্ত। মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধেও তার বাবাকে অপরাধে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে। ভোপালের রতিবাদ থানা এ তথ্য জানিয়েছে। মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৫৫ বছর বয়সী বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

 ভোপাল পুলিশ জানিয়েছে, খুনের এই ষড়যন্ত্রে বাবাকে সমর্থন করার জন্য পুলিশ মেয়েটির ২৪ বছর বয়সী ভাইকেও গ্রেফতার করেছে। রতিবাদ থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুদেশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, রবিবার থানা এলাকার সমসগড়ের জঙ্গলে পাইলোটা নালার কাছে ২৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং একটি ৬ মাস বয়সী শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই তরুণী পার্শ্ববর্তী সেহোর জেলার বিলকিসগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা এবং এক বছর আগে সমাজের বাইরে বিয়ে করেছিলেন।  মেয়েটি বেশ কিছুদিন ধরে রতিবাদ থানা এলাকায় তার বড় বোনের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তিনি জানান, কয়েকদিন আগে তার ছয় মাসের শিশুটি সেখানে মারা গেছে।

সুদেশ তিওয়ারি জানান, দীপাবলির পরের দিন মেয়েটির বাবা তার ছেলেকে নিয়ে এসে শিশুর দেহ কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। মেয়েটিও তাদের সঙ্গে যায়।  সুদেশ তিওয়ারির কথায়, “জঙ্গলে গিয়ে বাবা প্রথমে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এর পরে অভিযুক্ত এবং তার ছেলে মেয়ে ও শিশুর মৃতদেহ সেখানে জঙ্গলে ফেলে বাড়ি ফিরে আসে।” 

তিওয়ারি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার মেয়েকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেয়ের প্রেম ও পরে বিয়ে করায় তারা মেয়ের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

 

পুলিশ জানায়, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্বামীও তার স্ত্রীর বড় বোনের বাড়িতে ক্রমাগত তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বোনের বাড়িওয়ালা।  এ ঘটনায় পুলিশ ৩০২, ৩৭৬, ১২০বি, ২০১ ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।