গরমে মুখের যত্ন নেওয়া যতটা জরুরী শীতকালেও ততটা জরুরি। কারণ ত্বকের যত্নে বাজারে বিদ্যমান স্কিন ট্রিটমেন্ট বা স্কিন কেয়ার ক্রিমের পরিবর্তে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে ত্বকের সমস্যা শীঘ্রই কমবে। আমরা আপনাকে ত্বকের টোন বজায় রাখার আয়ুর্বেদিক প্রতিকার সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। তো চলুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে
হলুদ:হলুদের উপকারিতা সবারই জানা। তাই কয়েকশ বছর আগে থেকে আজ পর্যন্ত হলুদকে ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়। হলুদ ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক হিসেবে কাজ করে। এটি মুখে একটি বিশেষ আভা দেয়।
এই কারণেই বিয়ের আগে বর-কনের ত্বকে হলুদের পেস্ট লাগানো হয়। এছাড়াও অনেক মহিলাই মুলতানি মাটির সাথে হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগান সুন্দর দেখাতে এবং প্রাকৃতিক আভা পেতে। পার্লারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে মেকআপ করলেও স্বাভাবিকভাবেই আপনার মুখ উজ্জ্বল হয় না।
কিন্তু হলুদ দিয়ে ঘরেই তৈরি করা যায় গোল্ড ফেসিয়াল। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করবেন।
আমলকী : আমলকীকে প্রতিটি মিশ্রনের ওষুধও বলা হয়। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে আমলকী প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে বহু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর নিয়মিত সেবন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, পাইলস, আলসার, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
আমলকী সেবনে বার্ধক্য দূর হয়। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে, দৃষ্টিশক্তি, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, ত্বক ও চুল পুষ্টি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘজীবনের জন্য আমলকী গুঁড়ো রাতে ঘি, মধু বা জলের সঙ্গে খেতে হবে। একইভাবে ৩ থেকে ৬ গ্রাম আমলকীর গুঁড়ো নিয়ে দুধে দুই চামচ মধু ও এক চামচ ঘি মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে আপনি তরুণ থাকবেন।
চন্দন: শীতল চন্দন ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত প্রতিকারগুলির মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে চন্দন লাগালে ঠান্ডা লাগে এবং এমনকি ব্রণ ও দাগ কমাতেও সাহায্য করে।
এক চা চামচ চন্দন গুঁড়োর মধ্যে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই ফেস মাস্কটি সপ্তাহে একবার বা দুবার মুখে লাগান।
দই: দইয়ে উপস্থিত ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং ফসফরাস ত্বকের বর্ণ বাড়ায়। এটি ফেস প্যাকে যোগ করুন বা খালি দই দিয়ে মুখে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন। সবচেয়ে ভালো ফেসপ্যাক হল বেসন ও লেবুর মধ্যে দই মিশিয়ে সপ্তাহে দুবার মুখে লাগান।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি আয়রন খাওয়ারও খেয়াল রাখতে হবে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, আপনার সবসময় মৌসুমি ফল খাওয়া উচিৎ।
শীতকালে আপনি গাজর অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এর পাশাপাশি গরমের কথা ভাবলে ডালিমের জুস খান। আয়রন একটি প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধক যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment