ভ্যাকসিন হল এক ধরনের জৈবিক রাসায়নিক। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে উপস্থিত জীবাণু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যদি সময়মতো ভ্যাক্সিনেশন না করা হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। এটি শরীরকে অনেক রোগের সাথে লড়াই করতে সক্ষম করে।
ভ্যাকসিন এসব রোগ থেকে রক্ষা করে :চিকেনপক্স, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস এ এবং বি, এইচআইভি, লু, এইচপিভি, হুপিং কাশি, টিটেনাস, মেনিনজাইটিস, হাম, হারপিস জোস্টার, মিউপাস, পোলিও, নিউমোকোকাল ভাইরাস যেমন নিউমোনিয়া, রোটাভাইরাস, রুবেলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োজন।
কখন টিকা দিতে হবে: শিশুর জন্মের পরপরই বিসিজি, হেপাটাইটিস এবং পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ডিপিটি, পোলিও, হেপাটাইটিস বি-হিমোফিলিস এবং রোটাভাইরাস ভ্যাকসিন দেড় মাসে, পোলিও ডোজ সহ তিনটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন ৬ মাসে। আগে নবম মাসে হামের টিকা দেওয়া হত, এখন এর পরিবর্তে এমএমআর ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এবং পোলিও ডোজ দেওয়া হয়।
এক বছর বয়সে হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন, ১৫-১৮ মাসে ডিপিটি, টাইফয়েডের সাথে MMR এর দ্বিতীয় ডোজ। প্রতি দুই বছর অন্তর টাইফয়েডের টিকা নিন। মাম্পস, ডিটিপি, হাম, রুবেলা, চিকেনপক্সের ভ্যাকসিন পাঁচ বছর বয়সে দেওয়া হয়। দশ বছর বয়সে টিটেনাস এবং ডিপথেরিয়ার টিকা দেওয়া হয়। এছাড়াও পোলিও টিকা দিতে থাকুন।
ত্বকে লাল দাগের সাধারণ লক্ষণ: হালকা জ্বর, শরীরে ব্যথা, ফোলাভাব, ত্বকে লাল দাগ, ইনজেকশনের জায়গায় পিণ্ড তৈরি হওয়া টিকা দেওয়ার পর সাধারণ লক্ষণ এগুলো। জ্বর হলে শিশুর শরীর হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিন।
এমএমআর ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শিশুটি কম ঘুমোয় এবং জ্বর হলে বেশি কান্নাকাটি করে। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখে নিন। আন্তর্জাতিক গাইড লাইন অনুযায়ী টিকা নিন। কোল্ড চেইনের যত্ন নিন।
কখন টিকা দেওয়া উচিৎ নয়: ক্যান্সার-এইডস রোগী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশুদের ডাক্তারের পরামর্শে টিকা দিতে হবে। যদি শিশুর খুব বেশি জ্বর বা অ্যালার্জি থাকে, তবে ডাক্তারের সাথে দেখা করার পরেই টিকা নেওয়া উচিৎ ।
No comments:
Post a Comment