গত বছরের নির্দেশিকা বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশ অনুযায়ী কালীপুজোর রাতে কোনও আতশবাজি ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র মোমবাতি এবং প্রদীপের উপর নির্ভর করে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয় ফায়ারওয়ার্কস ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা।
কালীপুজো ও দীপাবলির সব উৎসবে পরিবেশবান্ধব পটকা পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইভাবে, রাজ্য সরকার পরিবেশ বান্ধব পটকা পোড়ানোর নির্দেশিকা জারি করেছিল। রাজ্য সরকার বলেছে যে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি করা যেতে পারে। আর এই সমস্ত পরিবেশবান্ধব আতশবাজি জ্বালানো যাবে কালীপুজোর দিন রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। ছট পুজোর দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পটকা পোড়ানোর নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। এমনকি নববর্ষ এবং বড় দিনগুলিতেও, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ রাত ১১ টা ৫৫ থেকে ১২ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে মাত্র ৩৫ মিনিট আতশবাজি ফোটানোর অনুমতি দেয়৷
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট শুধু দিওয়ালি বা কালীপুজো নয়, ছটপুজো, গুরু নানক জয়ন্তী, বড়দিন এবং নববর্ষেও বাজি ধরা নিষিদ্ধ করেছে। এর পরে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি প্রশ্ন তোলে এবং সুপ্রিম কোর্ট দেশে পরিবেশ বান্ধব পটকাকে ছাড় দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। এরপর দেশের শীর্ষ আদালতে যায় আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment