সব্জিকে উপকারী বলে মনে করা হয়, কিন্তু আপনি কি কখনো নাইটশেড ভেজিটেবলের কথা শুনেছেন? নাইটশেড ভেজিটেবল সম্পর্কে বলা হয় যে এই সব্জি খেলে বাত ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা বাড়তে পারে। বুকজ্বালা, পেটে জ্বালাপোড়া সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যদিও বেশিরভাগ মানুষই এই সব্জি খেতে পছন্দ করেন, সবার আগে জেনে নিন নাইটশেড সব্জি কী?
নাইটশেড সব্জি :টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম এবং আলুর মতো সব্জিকে রাতের সব্জি তে গণনা করা হয়। এই সব্জিতে অ্যালকালয়েড নামক উপাদান থাকে। একটি অ্যালকালয়েড হল একটি যৌগ যা নাইট্রোজেন ধারণ করে। গাছের পাতা, কান্ড এবং ভোজ্য অংশে অ্যালকালয়েড পাওয়া যায়।
খেলে কি ক্ষতি হবে: রাতের শাক সব্জি সম্পর্কে বলা হয় যে এতে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থের কারণে এগুলো খাওয়াও ক্ষতিকর হতে পারে। আলুতে পাওয়া অ্যালকালয়েড হল সোলানাইন, যা আলোর সংস্পর্শে আসলে সবুজ হয়ে যায়। এই ধরনের আলু খেলে আপনার ক্ষতি হবে। এর ফলে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, জ্বর বা মাথাব্যথা হতে পারে।
এ ছাড়া বেগুন, টমেটো বা অন্যান্য সবজিতে অল্প পরিমাণে অ্যালকালয়েড থাকতে পারে, তবে তা ক্ষতি করে না। তবে এই সব্জি বেশি পরিমাণে খাবেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের শাকসব্জি তে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক। বেগুনের বেগুনি রঙে পাওয়া অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
সেই সঙ্গে টমেটোতে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। অনেক ধরনের খনিজ ও ভিটামিনও পাওয়া যায় নাইটশেড সব্জিতে। এগুলো আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায়। ক্যাপসিকাম আমাদের শরীরে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
নাইটশেড সব্জি থেকে অ্যালার্জি: আপনার যদি নাইটশেড সব্জিতে অ্যালার্জি থাকে। অ্যালার্জির কারণে ফোলাভাব, ব্যথা, চোখ চুলকানো, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা বুকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
No comments:
Post a Comment