টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হল দুর্বল জীবনধারা। গর্ভাবস্থায় যেসব মহিলার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে তারা ভবিষ্যতে এর ঝুঁকিতে রয়েছে। অবহেলার কারণে এ রোগ স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রতিদিনের অভ্যাস পরিবর্তন করে রোগী রোগটিকে অগ্রসর হওয়া থেকে রোধ করতে পারে।
খাওয়ার নিয়ম সেট করুন: ডায়াবেটিস রোগীদের কখনই খাবার স্থগিত করা উচিৎ নয়। সাধারণভাবে, প্রতিটি মানুষের দিনে ৩-৪ বার খাওয়া উচিৎ যাতে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে কোনো ভুল করবেন না। সূর্যোদয়ের পর সকালের জলখাবার করা ভালো। সকালের জলখাবারে খিচড়ি, পোরিজ, অঙ্কুরিত সিরিয়াল, দুধ ও ফল ইত্যাদি গ্রহণ করা যেতে পারে।
একই সময়ে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খান। এ কারণে খাবার সহজে হজম হয় এবং স্থূলতা এড়ানো যায়। প্রতিটি খাবারে সালাদ এবং দই অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারে লাউ, তুরাই, মুগ ডালের মতো হালকা ও হজমযোগ্য জিনিস খান। ভাজা-ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কোল্ড ড্রিঙ্কের বদলে নারকেল জল, বাটার মিল্ক, দুধ ইত্যাদি খাবেন না।
ব্যায়াম: শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। অ্যারোবিক্স, দ্রুত হাঁটা, জগিং এবং সাইকেল চালানো ক্যালোরি বার্ন করে। বয়স্ক মানুষ বা যাদের জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা আছে, তাদের এক ঘণ্টা হাঁটা উচিৎ। যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের মাধ্যমে উদ্বেগ এবং চাপ থেকে মুক্তি দিন।
No comments:
Post a Comment