আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শারীরিক যন্ত্রণায় খুব কষ্ট পান কারণ এর কোনো স্থায়ী সমাধান বা নিরাময় নেই। এটি আমভাত বা সন্ধিভাতের মতো অন্যান্য নামেও পরিচিত। এ কারণে রোগীর সারাজীবন জয়েন্টে ব্যথা থাকে। সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়, তবে অল্পবয়সী যুবকদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যাটি দেখা যাচ্ছে। আপনি কিছু সহায়ক যোগা ভঙ্গি করে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
উষ্ট্রাসন: মাটিতে কার্পেট বিছিয়ে বজ্রাসনে বসে হাঁটু গেড়ে দাঁড়ান। দুই হাত পায়ের তলায় রাখার চেষ্টা করুন। এই সময়, পেট সামনের দিকে এবং ঘাড় পিছনে ঘুরবে। শুধু সামর্থ্য অনুযায়ী টুইস্ট করুন, কোমরে চাপ দেবেন না। এটি করার সময় ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে থাকুন। কিছুক্ষণ এই অবস্থানে থাকুন এবং সোজা হয়ে যান।
করবেন না: পিঠে ব্যথা বা তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে। যাদের মাথা ঘোরার সমস্যা আছে তারাও এই ব্যায়াম করবেন না। অথবা যারা সম্প্রতি পিঠে অস্ত্রোপচার করেছেন তাদেরও এটি করা উচিৎ নয়।
উপকারিতা: কোমর থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত প্রধান অঙ্গগুলির শক্ততা দূর হয় এবং নমনীয়তা থাকে। এছাড়াও শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় থাকে।
পবনমুক্তাসন : পিঠ দিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। এই সময়, শবাসনের অবস্থান তৈরি করুন। এরপর হাঁটু থেকে ডান পা বাঁকিয়ে উরু বুকের ওপর রাখুন। নাক হাঁটুতে রাখার চেষ্টা করুন। এই সময়, হাতের তালু একত্রে সংযুক্ত করে হাতের মধ্যে একটি হাঁটু থাকতে হবে। এই সময়, কিছু সময় বাইরে শ্বাস আটকে রাখুন এবং তারপর পা সোজা করুন। বাম পা দিয়েও এটি পুনরাবৃত্তি করুন। উভয় পা একের পর এক ৪-৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
এটা করবেন না: পিঠে ব্যথা হলে হাঁটু দিয়ে নাক স্পর্শ করার চেষ্টা করবেন না। গর্ভাবস্থা, হার্নিয়া, সাম্প্রতিক পেটের অস্ত্রোপচারে করবেন না।
উপকারিতা: এটি শরীরের সমস্ত অংশে নমনীয়তা দেয়, যা কঠোরতা দূর করে।
মন্ডুকাসন: কোমর, পিঠ এবং ঘাড় সোজা করে সমতল মাটিতে বসুন। এবার উভয় হাতের মুষ্টি তৈরি করুন। এই সময় বুড়ো আঙুল ভিতরের দিকে থাকা উচিত। এবার নাভির ডান ও বামে উভয় মুষ্টি রাখুন এবং শ্বাস ছাড়ার সময় সামনের দিকে বাঁকুন। কিছুক্ষণ এই অবস্থানে থাকুন এবং সোজা হয়ে বসুন। এই ক্রিয়াটি ৩-৪ বার পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে।
উপকারিতা: পরিপাকতন্ত্রের উন্নতির পাশাপাশি এটি পিঠ ও নিতম্বের ব্যথায় উপকারী।
No comments:
Post a Comment