শীত মৌসুম প্রায় চলে এসেছে। শীতের মৌসুমে শরীরকে উষ্ণ রাখতে বেশি শক্তি এবং মেটাবলিজম দ্রুত করতে বেশি পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যতালিকায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই সময়ে, আপনি ডায়েটে ডিটক্স ড্রিংকও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
এগুলি কেবল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করবে না তবে তারা ওজন কমাতে এবং বিপাক বাড়াতেও সাহায্য করবে। এগুলো পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এগুলো চুল ও ত্বকের উন্নতিতেও সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই শীতে ডায়েটে কোন ডিটক্স ড্রিংকস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ডালিম এবং বিট জুস: ডালিম এবং বিটরুট থেকে তৈরি ডিটক্স পানীয় খাওয়া যেতে পারে। এটি আয়ুর্বেদে অনেক ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এতে রয়েছে অ্যালোভেরা জেল। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হলুদ চা: এই চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদ লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কমলা, আদা এবং গাজরের রস: কমলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে এবং হজমে সাহায্য করতে পারে। আদা হজম, ফোলাভাব এবং পেটের ক্র্যাম্পের জন্য একটি সুপরিচিত ঘরোয়া প্রতিকার। এটিতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
আমলকির রস: এতে শুধু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে না, এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে। এটি সর্দি এবং কাশির মতো ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
পালং শাক, গাজর এবং আপেল জুস: এই সংমিশ্রণটি পুষ্টিতে ভরপুর। পালং শাকের তিক্ত স্বাদের কারণে এর স্বাদ বাড়াতে এতে গাজর এবং আপেল যোগ করুন।
আদা, লেবু এবং মধু চা: এই পানীয়টি দীর্ঘদিন ধরে গলা ব্যথা এবং সর্দি নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে সামান্য আদা, মধু ও লেবু যোগ করা হয়।
গ্রিন টি এবং মিন্ট: সবুজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে, কাশি এবং ফ্লু থেকে রক্ষা করতে পরিচিত। এ ছাড়া গ্রিন টি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুদিনা ক্যালোরি কম। এটি পাচক এনজাইম উৎপাদন করে।
No comments:
Post a Comment