আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, তবে আপনাকে সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে সময়মতো রোগ শনাক্ত করা যায়। রোগের উপসর্গ উপেক্ষা করলে, রোগ বাড়ে এবং এর চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।তাই আমরা এমন কিছু পরীক্ষার কথা বলবো যা পুরুষদের করা উচিৎ।
মূত্রথলির ক্যান্সার: এই ক্যান্সার খুবই বিপজ্জনক। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। সময়মতো ধরা পড়লে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। এটি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে।
টেস্টিকুলার ক্যান্সার: এই ক্যান্সার পুরুষের অন্ডকোষে হয়। সাধারণত ২০থেকে ৫৪ বছর বয়সে পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের পরিবারে এই জাতীয় রোগের ইতিহাস রয়েছে তাদের এই পরীক্ষা করা উচিৎ।
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার: এই ক্যান্সারের কারণে পুরুষের মৃত্যুর হার বাড়ে। এই ক্যান্সার ধীরে ধীরে পেটের ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারপর শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।
ত্বক ক্যান্সার: পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু আপনি যদি ত্বকে কোনো ধরনের পরিবর্তন দেখতে পান, তবে আপনার তা অবিলম্বে পরীক্ষা করা উচিৎ ।
উচ্চ্ রক্তচাপ:এখন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠেছে। যদিও এর চিকিৎসা সম্ভব।তবে উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও থাকে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ে। এমন অবস্থায় ৩৫ বছর বয়সের পর কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিৎ । উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের কারণে শরীরে আরও অনেক রোগ বাড়তে থাকে। ৩৫ বছর বয়সের পরে, পুরুষদের প্রতি বছর ডায়াবেটিসের জন্য পরীক্ষা করা উচিৎ।
ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি: এইচআইভি ভাইরাস এইডসের সমস্যা সৃষ্টি করে, যার লক্ষণ প্রায়শই দেখা যায় না। এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে এটিকে মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছানো থেকে রক্ষা করা যায়।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা যেহেতু চোখের রোগ, তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যাটি দেখা যায়। ৫০ বছর পর পুরুষদের বছরে তিনবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিৎ।
No comments:
Post a Comment