নিউজিল্যান্ডে ইউথানেশিয়া আইন রবিবার অর্থাৎ ৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। এখন এখানে এমন মানুষ নিজের ইচ্ছামত মৃত্যুকে বরণ করতে পারবেন যারা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। এর আগে আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, কানাডাসহ আরও কয়েকটি দেশে ইউথানেশিয়াকে আইনি মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এই সমস্ত দেশে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলী রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে এই আইনের বিরোধিতা থাকলেও তা সত্ত্বেও তা কার্যকর করা হয়েছে।
দুইজন চিকিৎসকের সম্মতি নিতে হবে
ওয়েবসাইট WION-এ প্রকাশিত খবর অনুসারে, নিউজিল্যান্ডে, একজন ব্যক্তির ইচ্ছামৃত্যুর জন্য কমপক্ষে দুইজন ডাক্তারের সম্মতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে নিউজিল্যান্ডে দীর্ঘ বিতর্ক চলছিল। এর পরে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৬৫ শতাংশের বেশি মানুষ এর পক্ষে ভোট দেয়। তবে এখনও একটি অংশ এই আইনের বিরোধিতা করছে।
আইনটি কার্যকর করার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, ৬১ বছর বয়সী স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রং, যিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, বলেছেন যে তিনি কীভাবে মারা যাবেন তা নিয়ে তিনি আর চিন্তিত নন, কারণ ইউথানেশিয়া ব্যথার কারণ হবে না। আইনে বলা হয়েছে, যারা দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের মৃত্যু সম্ভব, তাদের নিজের ইচ্ছায় মারা যাওয়ার অধিকার রয়েছে। অন্তত দুজন চিকিৎসক এতে সম্মতি দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারেন।
আইনের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলা হচ্ছে
যারা নিউজিল্যান্ডের এই আইনের বিরোধিতা করছেন তাদের নিজস্ব ভিন্ন যুক্তি রয়েছে। তারা বলছেন, ইথানেশিয়া মানুষের জীবন ও মূল্যবোধের প্রতি সমাজের সম্মানকে দুর্বল করে দেবে। এটি অসুস্থ বা দুর্বল ব্যক্তিদের, বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের যত্ন হ্রাস করবে। একইসঙ্গে যারা আইন সমর্থন করে তারা বলছেন, একজন ব্যক্তি কখন এবং কীভাবে মরতে চান তার মৃত্যুর অধিকার থাকা উচিৎ। এমতাবস্থায় ইথানেশিয়া তাদের মর্যাদার সঙ্গে মরার অধিকার দেয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে প্রতি বছর ৯৫০ জন নতুন আইনের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যার মধ্যে ৩৫০ জন অনুমোদিত হবে।
No comments:
Post a Comment