ধর্মতাত্ত্বিক বিশ্বাস অনুসারে, কার্তিক মাসটি বছরের বারো মাসের মধ্যে বিশেষ। এই পুণ্যময় পবিত্র মাসটি তীর্থস্থান পূজার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ভগবান মহাকাল হলেন অবন্তিকার রাজা। এমতাবস্থায় তিনি কার্তিক মাসে শিপ্রা সমুদ্র সৈকতে তীর্থ ভ্রমণে যান। বলা হচ্ছে, কার্তিক আগান মাসে ভগবান মহাকালের পাঁচটি সওয়ারী বের হবে। তথ্য অনুযায়ী, ৮ নভেম্বর প্রথম এবং ২৯ নভেম্বর রাজকীয় যাত্রা ছাড়বে। হরি হর মিলনের যাত্রা বের হবে বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীতে ১৮ নভেম্বর রাত ১১টায়।
জ্যোতির্লিঙ্গ মহাকাল মন্দিরের ঐতিহ্য অনন্য। শ্রাবণ ভাদৌ মাসে কৃষ্ণপক্ষের প্রথম সোমবার থেকে মহাকালের যাত্রা শুরু হয়। একই সঙ্গে কার্তিক আগান মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম সোমবার থেকে যাত্রা বের করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এবার কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম সোমবার ৮ নভেম্বর। এদিন প্রথম যাত্রা ছাড়বে।
এ বিষয়ে জ্যোতিষী পণ্ডিত অমর ডাব্বাওয়ালা বলেছেন যে উজ্জয়িনী সিন্ধিয়া রাজ্য দ্বারা শাসিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রীয় ঐতিহ্যে, যে কোনও মাসের শুরুকে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ বলে মনে করা হয়। তাই আগে শুক্লপক্ষের প্রথম সোমবার থেকে মহাকালের যাত্রা শুরু হত। স্বাধীনতা লাভের পর নগরীর আলোকিত মানুষের সাথে আলোচনা করে প্রশাসন শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রথম সোমবার থেকে যাত্রা বের করার প্রথা শুরু করে। কিন্তু কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম সোমবার থেকে যাত্রা বের করার রেওয়াজ এখনও চলছে।
সৃষ্টির ভার হরির হাতে তুলে দেবে সবাই
পন্ডিত মহেশ পূজারির মতে, চাতুর্মাসের চার মাস ভগবান বিষ্ণু শিবের হাতে সৃষ্টির ভার অর্পণ করে পতালোকে রাজ বালির আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। তাই চার মাস ধরে শিব ব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি। কথিত আছে দেবপ্রবোধিনী একাদশীতে দেশের শক্তি জাগ্রত হওয়ার পর ভগবান বিষ্ণু আবার বৈকুণ্ঠে যান। বৈকুণ্ঠে ফিরে আসার পর, চতুর্দশীর দিনে, প্রতিটি ভগবান মহাকাল ভগবান বিষ্ণুর কাছে সৃষ্টির ভার হস্তান্তর করতে সিন্ধিয়া দেবস্থান ট্রাস্টের বিখ্যাত গোপাল মন্দিরে যান। মাঝরাতে এখানে উৎসব পালিত হয়।
কখন যাত্রা বের হবে
৮ই নভেম্বর কার্তিক শুক্লা চতুর্থীতে প্রথম যাত্রা।
১৫ই নভেম্বর কার্তিক শুক্লা একাদশীতে দ্বিতীয় যাত্রা।
১৮ নভেম্বর বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীতে ১১ টায় তৃতীয় যাত্রা।
২২শে নভেম্বর শুক্ল তৃতীয়ায় চতুর্থ যাত্রা।
২৯শে নভেম্বর আগান শুক্লা দশমীতে রাজকীয় যাত্রা।
No comments:
Post a Comment