ঘুম আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আজকাল বেশির ভাগ মানুষই ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভুগছে। অনিদ্রার কারণে অনেক শারীরিক ও মানসিক রোগও হয়। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের সাহায্য নিতে হয়। যার ফলে শরীরেরও ক্ষতি হয়।
অনিদ্রার থেকে বাঁচতে চাইলে আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে পারেন। এ জন্য রাতে ঘুমানোর আগে এমন কিছু টিপস অনুসরণ করতে হবে, যাতে ঘুম দ্রুত ও আরামদায়ক হয়। অনিদ্রার সমস্যা আয়ুর্বেদের সাহায্যে সহজে নিরাময় করা যায়। কিন্তু আয়ুর্বেদে এমন কিছু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যা ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে।
ভালো ঘুমের জন্য রাতে ঘুমানোর আগে করুন এই আয়ুর্বেদিক প্রতিকারগুলো: অনিদ্রার সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ওষুধেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অতএব, আপনি ওষুধ না খেয়ে এর জন্য কিছু বিশেষ আয়ুর্বেদিক প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন। এই ৫ টি আয়ুর্বেদিক প্রতিকারের সাহায্যে আপনি আপনার অনিদ্রার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
পা ধোয়া: আয়ুর্বেদ অনুসারে, রাতে পা ধোয়ার ফলে দিনের সমস্ত ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ দূর হয়। আপনি যদি অনিদ্রার সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই পা ধুয়ে নিন। এর জন্য একটি টবে গরম জল নিয়ে তাতে পা রাখুন ১০ মিনিট। এটি শরীরে শিথিলতা দেয় এবং স্ট্রেস লেভেলও কমায়। এভাবে পা ধুলে আরাম পাওয়া যায়, নেতিবাচকতা দূর হয় এবং রাতে খুব ভালো ঘুম হয়।
দীর্ঘ গভীর শ্বাস নিন: দীর্ঘ গভীর শ্বাস নেওয়া অনিদ্রার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে একটি খুব ভাল আয়ুর্বেদিক প্রতিকার হতে পারে। যদি আপনার রাতে ভালো ঘুম না হয় বা এর মধ্যে ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে ঘুমানোর আগে দীর্ঘ গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস করতে পারেন।
এর জন্য, ওম জপ করার সাথে সাথে আপনার দীর্ঘ গভীর শ্বাসও নেওয়া উচিৎ । ওম শব্দটি উচ্চারণ করলে মন শান্ত থাকে, ইতিবাচক হয়, যা ভালো ঘুমের দিকে নিয়ে যায়। এর জন্য আপনি একটি দীর্ঘ গভীর শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন।
শরীর ম্যাসাজ করলে ভালো ঘুম আসবে: রাতে ঘুমনোর আগে শরীর ম্যাসাজ করা ভালো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। এর জন্য কিছু গরম তেল নিয়ে তা দিয়ে শরীরে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। চাইলে শুধু কপালে কিছু উষ্ণ তিলের তেল লাগাতে পারেন। এটি পেশী শিথিল করে এবং মনকেও শান্ত করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এটি করলে আপনার অনিদ্রার সমস্যা কয়েকদিনের মধ্যেই দূর হয়ে যাবে।
এই সব প্রতিকার করেই অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment