বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শিল্পা শেঠি কুন্দ্রা জানিয়েছেন, তিনি ফিট থাকতে নিয়মিত যোগা করেন ও পুষ্টিকর খাবার খান। মোটকথা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করেন। তার ফিটনেস ও সৌন্দর্যের মূল রহস্যই এটি। সুস্থ থাকতে প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদানেই ভরসা রাখেন এই নায়িকা।
জানলে অবাক হবেন, শিল্পা তার দিন শুরু করেন এক গ্লাস হালকা গরম তুলসির পানীয় দিয়ে। ডিটক্সিফিকেশনের জন্য এই পানীয় দুর্দান্ত কার্যকর। তুলসির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে:
ওজন কমানো থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে তুলসির ডিটক্স পানীয়। বিশেষ করে তুলসি শরীরের বিপাক হার বাড়ায়। এ কারণে ধীরে ধীরে ওজন কমতে শুরু করে।
তুলসিতে থাকা প্রাকৃতিক রাসায়নিক শরীরের হজমকারী এনজাইমের সঙ্গে মিলিত হয় এ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
তুলসির পানীয়তে শক্তিশালী ট্যুসিভ ও এক্সপেক্টোর্জ্যান্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। যা অ্যালার্জির ফলে হওয়া কাশি, শ্বাসকষ্ট ও সর্দি প্রতিরোধ করে।bডিটক্সিফাইংয়ের কাজ করে তুলসি। শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে এই পাতা। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ওষুধি গুণ আছে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মাত্রা কমায় তুলসির পানীয়। এটি সেবনের পর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে ডায়াবেটিস রোগীরা হিমশিম খান। তুলসির জল সেবনের ফলে শরীরের সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি সহজেই হজম হয়। ফলে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তুলসীর ডিটক্স পানীয় তৈরির উপায়: এক গ্লাস জলে প্রথমে ফুটিয়ে নিন। এতে ২-৩টি তুলসির পাতা বা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে পান করুন। এর সঙ্গে আদা, লেবুর রস, জোয়ান বা মধু মেশালে আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে এই পানীয়।
No comments:
Post a Comment