দুধ একটি সম্পূর্ণ খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়, কারণ এতে সমস্ত পুষ্টিগুণ রয়েছে। একই সময়ে, রসুনও খাবারের স্বাদ বাড়ায়, এটিরও আয়ুর্বেদিক গুণ প্রচুর। এতে ভিটামিন বি ৬,সি , ফাইবার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো অনেক উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তাই এই দুটো যদি একসাথে নেওয়া হয় তাহলে উপকারিতা বৃদ্ধি পায়। আজ আমরা আপনাকে রসুনের দুধ পানের উপকারিতা বলতে যাচ্ছি, যা জানার পর আপনিও এটি খাওয়া শুরু করবেন।
সায়াটিকার ব্যথা উপশম: সায়াটিকার কারণে কোমর থেকে পা পর্যন্ত শিরায় অসহ্য যন্ত্রণা হয়। তবে প্রতিদিন এক গ্লাস রসুনের দুধ পান করলে সায়াটিকার ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হাঁপানিতে উপকারী: ৩০ মিলি ৫ কোয়া রসুন এক লিটার দুধে ফুটিয়ে পান করুন। হাঁপানি রোগে উপকার পাবেন।
ডায়াবেটিসে উপকারী: এটি সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এতে প্রোটিন, ভিটামিন, ফসফরাস, আয়রনের মতো গুণ রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। এটি আপনাকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
স্নায়ু ব্যথা উপশম: রসুনের দুধ অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে, যা নিউরালজিয়া থেকেও মুক্তি দেয়। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা উপশম করে।
হার্ট সুস্থ রাখতে : রসুনের ২ টি কোয়া পিষে নিন। এবার ১ গ্লাস দুধে সেটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করুন। এটি নিয়মিত সেবনে হৃদরোগ দূরে থাকবে।
কাশি থেকে উপশম: দুধে রসুন সিদ্ধ করে ঠান্ডা করে খেলে ঠান্ডা ও ফ্লু হলে আরাম পাওয়া যায়। এটি নিউমোনিয়া এবং শ্লেষ্মা থেকেও মুক্তি দেয়।
হজমে সাহায্য করে: রসুনের দুধ পান করলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে, যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হয় না। এর পাশাপাশি এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে।
নতুন মায়েদের জন্য উপকারী:যারা মা হতে যাচ্ছেন, তারা প্রতিদিন ১গ্লাস দুধে রসুন সেদ্ধ করে খান। এর ফলে স্তনে দুধের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, যাতে আপনার বুকের দুধ খাওয়ানোর সমস্যা থাকবে না।
ব্রণ থেকে পরিত্রাণ:আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস রসুন মিশ্রিত দুধে মধু মিশিয়ে পান করুন। কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ্য করবেন।
No comments:
Post a Comment