গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং পাইলস সম্পর্কিত সমস্যা রয়েছে যা প্রসবের পরে নিজে থেকেই সেরে যায়। এই সমস্যাগুলি প্রসবের পরেও ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে থেকে যায়।
গর্ভাবস্থায় খাবারের পাশাপাশি রুটিনের প্রতি বিশেষ যত্ন নিলে এগুলো এড়ানো যায়। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপের সমস্যার কারণে হাত-পা ফুলে যায়, ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্ত বোধ করে।
সপ্তাহে এক কেজি ওজন বাড়তে থাকলে সতর্ক হোন। রক্তচাপের ক্রমাগত ব্যাঘাত মা ও শিশু উভয়ের জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে।
প্রসবের পর মাথায় রাখবেন।
ডেলিভারি অপারেশন স্বাভাবিক কি না: উভয় অবস্থাতেই শরীরে রক্তের অভাব দেখা দেয়। এমতাবস্থায় আয়রন-সমৃদ্ধ খাবারের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। এতে পালং শাক, বথুয়া, মেথি, গাজর, শসা ইত্যাদি সবুজ শাকসব্জি খাওয়া যেতে পারে।
তরমুজ খাওয়া উপকারী। তরল পদার্থ হিসাবে বাটার মিল্ক, দুধ, পাতলা মসুর ডাল, দই ও স্যুপ নিন। এতে উপযুক্ত পুষ্টি পাওয়া যায়।
খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা:ডেলিভারির পর দেশি ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যদিও ঘি চর্বিযুক্ত এবং বেশি খেলে রক্তচাপের পাশাপাশি স্থূলতা বাড়ে।
প্রসবের পর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঘি ব্যবহার করলে হজমের সমস্যা হয়, যা মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। এটি নবজাতকের উপরও প্রভাব ফেলে কারণ সে খাওয়ানোর উপর নির্ভরশীল।
এই পরীক্ষাগুলো নিয়মিত করান: গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে। মহিলাদের নিয়মিত কিছু পরীক্ষা করা উচিত যেমন, হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড পরীক্ষা, প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা এবং জরায়ুর পরীক্ষা করা ইত্যাদি।
মহিলাদের মধ্যে যদি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার পিছনে কোনও বড় কারণ থাকে তবে এই পরীক্ষাগুলি প্রাথমিকভাবে করা যেতে পারে।
প্রসবের ৪৫ দিন পর অত্যাবশ্যক: গর্ভাবস্থা এবং গর্ভাবস্থায় শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়। প্রসবের পর প্রথম ৪৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে যদি প্রসবের পর ব্যায়াম করেন।
No comments:
Post a Comment