একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন সচেতন ব্যক্তি তার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনেন না। খাবার ও পানীয়ের কথা যদি বলি, তাতে দই খুবই উপকারী। গরমে দই অনেক বেশি খাওয়া হয়। দই দিয়ে পেট ঠান্ডা করা ছাড়াও শরীরের আরও অনেক উপকার রয়েছে।
আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী শুভ কাজের আগে দই ও চিনি খাওয়ানোর প্রথা রয়েছে। গরম থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ দই ও তা থেকে তৈরি রাইতা, বাটার মিল্ক, লস্যি ইত্যাদিও খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কিছু খাবারে দই ব্যবহার করা উচিত নয়। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবারের কথা যা দই দিয়ে খেলে সমস্যা হতে পারে।
দই খাওয়ার উপকারিতা: দইয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায় যা হজমের ব্যাধি দূর করতে সহায়ক। ল্যাকটিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি -৬, বি -১২,আয়রন, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিনের মতো পুষ্টি দইয়ে পাওয়া যায়।
এই সমস্ত উপাদান শরীরকে রোগ থেকে দূরে রাখতে কার্যকর। দই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। ক্যালসিয়াম থাকার কারণে রক্তনালীর শিরা নরম থাকে, যার কারণে শিরাগুলো সংকুচিত হয় না এবং রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয়।
দিনের বেলায় সবসময় দই খাওয়া উচিৎ : রাতে দই, দইয়ের প্রভাব ঠাণ্ডা। রাতে খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে। এছাড়াও, ভুল সময়ে এটি গ্রহণ করা স্থূলতা এবং ত্বকের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দইয়ে এমন উপাদান রয়েছে যা পিত্ত ও কফ বাড়ায়।
তাই সাবধানতার সাথে খাওয়া উচিৎ । বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের বেলায় সবসময় দই খাওয়া উচিত। এছাড়াও ফ্রিজে রাখা দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন, তাজা দই স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
এই জিনিস দিয়ে দই খাবেন না: বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ ও দই একসঙ্গে খাওয়া উচিৎ নয়। এই কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দইয়ের সঙ্গে ফলও খাওয়া উচিত নয়।
সেই সঙ্গে দই ও লবণ খেলে বিপির সমস্যা বাড়তে পারে। এ ছাড়া গরম খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া উচিৎ নয়। ভাজা খাবার এবং দই একসাথে খাওয়াও ক্ষতিকর হতে পারে।
No comments:
Post a Comment