প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : বের ফলকে চাইনিজ আপেলও বলা হয় এটি একটি মৌসুমী ফল, এবং এটি ঔষুধি গুণে পূর্ণ। আমাদের দেশে পাওয়া বের ফলের বোটানিক্যাল নাম 'জিজিফাস মরিসিয়ানা'। এটি প্রাচীনতম ফলগুলির মধ্যে একটি। এই ফল রামায়ণেও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অনেক পুষ্টিকর উপাদান যেমন ভিটামিন, খনিজ এবং শর্করা রয়েছে।
চীন, ইউরোপ এবং রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশে এই ফল জন্মে। এই ফল খাওয়া ছাড়াও এটি ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। সঠিক পরিমাণে বের খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে। কিন্তু যদি এটি সঠিকভাবে খাওয়া না হয়, তাহলে এর অসুবিধাও দেখা যায়।
পুষ্টিকর উপাদান: বেরের মধ্যে অনেক পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। ভিটামিন, রাইবোফ্লাভিন এবং থায়ামিন, প্রোটিন, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। একে পুষ্টির ভাণ্ডারও বলা হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে ভিটামিন সি -এর একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত, জুজুবের বীজেও ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে।
বের ফলের মধ্যে পাওয়া কিছু প্রধান পুষ্টি নিম্নরূপ:
ভিটামিন সি, এ এবং বি কমপ্লেক্স
কার্বোহাইড্রেট
প্রোটিন
চর্বি
লোহা এবং তামা
ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস
সোডিয়াম
দস্তা
সাইট্রিক অ্যাসিড
উপকারীতা: শুধু বের ফল নয়, এর গাছের ছাল ও পাতাও ওষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
১. বমির সমস্যায় বের গাছের ছাল ব্যবহার: যদি কেউ বারবার বমির সমস্যার সম্মুখীন হয়, তাহলে এই গাছের ছালের ব্যবহার তার জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। গাছের ছালটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে, এই গুঁড়ো ১চামচ গরম জলের সাথে খেলে বমির সমস্যা বন্ধ হবে।
২. গলা ব্যথার জন্য : এই গাছের ছাল একটি টুকরো মুখে রেখে চুষতে থাকলে, চাপা কণ্ঠস্বর বা গলা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৩.ব্রণ হলে :
এই গাছের ছাল পিষে দুবার করে লাগালে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
৪. রক্তাক্ত ডায়রিয়া: রক্তাক্ত ডায়রিয়ার সমস্যা প্রায়ই খাবার বা সংক্রমণের কারণে হয়। এই সমস্যায় এই গাছের ছাল ২-৩ বার দুধের সাথে পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
বের গাছের ছালের ব্যবহার এই রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে, কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এটি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
No comments:
Post a Comment